০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫

ধানের ফলল ভালোর আশা কাটা ও সংরক্ষণে ব্যস্ত শালিখার কৃষক

নিউজ ডেস্ক

শালিখা মাগুরা প্রতিনিধিঃ পাকা ধান সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন শালিখার কৃষক। ধানের ফলন ভাল হওয়ায় তা ঝড় বৃষ্টির আগে তুলতে মরিয়া কৃষক।

২৮ এপ্রিল উপজেলার তালখড়ি, বুনাগাতী, ধনেশ্বরগাতীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কেউ ধান কেটে তা সংরক্ষণ করতে, গরু, মহিষ, ঘোড়ার গাড়িসহ নানা মাধ্যমে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে, কোথাও আবার মাথায় করে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে। কেউ কেউ ধান কেটে মাঠেই সেরে ফেলছেন মাড়ায়ের কাজ। সংগ্রহ ও মাড়াই কাজে মহিলারাও অংশ নিচ্ছে। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের।

ভাটোয়াইল গ্রামের কৃষক রেজাউল মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বছর কোন প্রকার আঘাত ছাড়া ফসল অনেক ভালো হয়েছে তবে শ্রমিকের মূজুরী অনেক বেশি। এতে করে ধান ঘরে তুলতে মোট ফসলের এক তৃতীয়াংশ শ্রমিকে ব্যয় হবে।সেওজগাতি গ্রামের কৃষক অসীত বিশ্বাস বলেন, আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তবে ১০ দিনের মধ্যে সকল ফসল তুলে আনা সম্ভব হবে। এছাড়া একাধিক কৃষকের মধ্যে ফসল ভালো হলেও বৈশাখীর ঝড় ও শিলা বৃষ্টির আশংকার কথা বলেন।

উপজেলা কৃষি অফিস জানান, এবছর ১৩ হাজার ৫৭৫ হে. জমিতে বোরো ধানের আবাদ অর্জিত হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পাচ হেক্টর বেশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, ধান কর্তনের ক্ষেত্রে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন ব্যবহার করে ধান কর্তন করলে একদিকে যেমন অর্থ সাশ্রয় হবে অপরদিকে কৃষকদের সময় বেঁচে যাবে।

উল্লেখ এ বছর স্থানীয় শ্রমিক ৮শ ও বাইরের শ্রমিক ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০১:৪৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
৪৪

ধানের ফলল ভালোর আশা কাটা ও সংরক্ষণে ব্যস্ত শালিখার কৃষক

আপডেট: ০১:৪৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

শালিখা মাগুরা প্রতিনিধিঃ পাকা ধান সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন শালিখার কৃষক। ধানের ফলন ভাল হওয়ায় তা ঝড় বৃষ্টির আগে তুলতে মরিয়া কৃষক।

২৮ এপ্রিল উপজেলার তালখড়ি, বুনাগাতী, ধনেশ্বরগাতীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কেউ ধান কেটে তা সংরক্ষণ করতে, গরু, মহিষ, ঘোড়ার গাড়িসহ নানা মাধ্যমে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে, কোথাও আবার মাথায় করে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে। কেউ কেউ ধান কেটে মাঠেই সেরে ফেলছেন মাড়ায়ের কাজ। সংগ্রহ ও মাড়াই কাজে মহিলারাও অংশ নিচ্ছে। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের।

ভাটোয়াইল গ্রামের কৃষক রেজাউল মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বছর কোন প্রকার আঘাত ছাড়া ফসল অনেক ভালো হয়েছে তবে শ্রমিকের মূজুরী অনেক বেশি। এতে করে ধান ঘরে তুলতে মোট ফসলের এক তৃতীয়াংশ শ্রমিকে ব্যয় হবে।সেওজগাতি গ্রামের কৃষক অসীত বিশ্বাস বলেন, আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তবে ১০ দিনের মধ্যে সকল ফসল তুলে আনা সম্ভব হবে। এছাড়া একাধিক কৃষকের মধ্যে ফসল ভালো হলেও বৈশাখীর ঝড় ও শিলা বৃষ্টির আশংকার কথা বলেন।

উপজেলা কৃষি অফিস জানান, এবছর ১৩ হাজার ৫৭৫ হে. জমিতে বোরো ধানের আবাদ অর্জিত হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পাচ হেক্টর বেশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, ধান কর্তনের ক্ষেত্রে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন ব্যবহার করে ধান কর্তন করলে একদিকে যেমন অর্থ সাশ্রয় হবে অপরদিকে কৃষকদের সময় বেঁচে যাবে।

উল্লেখ এ বছর স্থানীয় শ্রমিক ৮শ ও বাইরের শ্রমিক ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।