০৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা তিনটি পরিবার সর্বস্বান্ত

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের চারটি ঘর পুড়ে ছাই। সর্বসান্ত হয়েছে তিনটি পরিবার।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুর সরকারপাড়া এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবার সম্পূর্ণরূপে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। আগুনে চারটি টিনসেট আধাপাকা ঘরসহ নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও খাদ্যশস্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে
ঘটনাস্থলটি দলিল লেখক আব্দুল হামিদ সরকারের তিনতলা ভবনের পেছনে অবস্থিত। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত টিনসেট বাড়িটিও তাঁর মালিকানাধীন। সেখানে তিনটি পরিবার বসবাস করতো, যার মধ্যে দুটি ভাড়াটিয়া পরিবার।

আব্দুল হামিদ সরকার জানান, আগুনের সূত্রপাত হয় ভাড়াটিয়া ট্রাকচালক কালামের ফ্রিজের কমপ্রেসার বিস্ফোরণ থেকে। কালাম ও তার স্ত্রী ওই রাতে বাসায় ছিলেন না। তিনি আরও জানান, গভীর রাতে ফাঁকা ঘরে আগুন লাগার কারণে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বৈদ্যুতিক তার ও টিনের চালের কাঠের ফ্রেম দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাড়ি জুড়ে। অনেকটা সময় পর পাশের ভাড়াটিয়া আকাশ আগুনের বিষয়টি টের পান এবং চিৎকার করে আশপাশের মানুষদের ডাকেন।

স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রচণ্ড আগুন ও পানির সংকটে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়। পরে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল রাত পৌনে ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ঘরগুলো সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।

আব্দুল হামিদ সরকার বলেন, “আমার বাড়ির পাকা দেয়াল ছাড়া সবকিছু পুড়ে গেছে। প্রায় ১০ লাখ টাকার অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। পাশের বিল্ডিংয়ের জানালার থাই গ্লাস ভেঙে গেছে, পুরো পানির লাইনও পুড়ে গেছে।”

ভাড়াটিয়া কালামের ঘরে রাখা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, জামাকাপড়সহ সব কিছুই আগুনে পুড়ে যায়। অন্যদিকে আরেক ভাড়াটিয়া আকাশ তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী, মা, বড় ভাই ও ভাতিজাসহ সেখানে বসবাস করতেন। তিনি স্থানীয় একটি দোকানে চাকরি করে কোনোমতে সংসার চালান। অগ্নিকাণ্ডে তাদেরও সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বর্তমানে নিঃস্ব হয়ে দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে পরিবারটি।

সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার হামিদুর রহমান জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে চারটি সেমিপাকা টিনসেট ঘর পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৯ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৪ লাখ টাকার ঘরবাড়ি, ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী এবং ২ লাখ টাকার নগদ অর্থ রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৮:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
৬০

সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা তিনটি পরিবার সর্বস্বান্ত

আপডেট: ০৮:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের চারটি ঘর পুড়ে ছাই। সর্বসান্ত হয়েছে তিনটি পরিবার।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুর সরকারপাড়া এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবার সম্পূর্ণরূপে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। আগুনে চারটি টিনসেট আধাপাকা ঘরসহ নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও খাদ্যশস্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে
ঘটনাস্থলটি দলিল লেখক আব্দুল হামিদ সরকারের তিনতলা ভবনের পেছনে অবস্থিত। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত টিনসেট বাড়িটিও তাঁর মালিকানাধীন। সেখানে তিনটি পরিবার বসবাস করতো, যার মধ্যে দুটি ভাড়াটিয়া পরিবার।

আব্দুল হামিদ সরকার জানান, আগুনের সূত্রপাত হয় ভাড়াটিয়া ট্রাকচালক কালামের ফ্রিজের কমপ্রেসার বিস্ফোরণ থেকে। কালাম ও তার স্ত্রী ওই রাতে বাসায় ছিলেন না। তিনি আরও জানান, গভীর রাতে ফাঁকা ঘরে আগুন লাগার কারণে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বৈদ্যুতিক তার ও টিনের চালের কাঠের ফ্রেম দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাড়ি জুড়ে। অনেকটা সময় পর পাশের ভাড়াটিয়া আকাশ আগুনের বিষয়টি টের পান এবং চিৎকার করে আশপাশের মানুষদের ডাকেন।

স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রচণ্ড আগুন ও পানির সংকটে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়। পরে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল রাত পৌনে ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ঘরগুলো সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।

আব্দুল হামিদ সরকার বলেন, “আমার বাড়ির পাকা দেয়াল ছাড়া সবকিছু পুড়ে গেছে। প্রায় ১০ লাখ টাকার অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। পাশের বিল্ডিংয়ের জানালার থাই গ্লাস ভেঙে গেছে, পুরো পানির লাইনও পুড়ে গেছে।”

ভাড়াটিয়া কালামের ঘরে রাখা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, জামাকাপড়সহ সব কিছুই আগুনে পুড়ে যায়। অন্যদিকে আরেক ভাড়াটিয়া আকাশ তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী, মা, বড় ভাই ও ভাতিজাসহ সেখানে বসবাস করতেন। তিনি স্থানীয় একটি দোকানে চাকরি করে কোনোমতে সংসার চালান। অগ্নিকাণ্ডে তাদেরও সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বর্তমানে নিঃস্ব হয়ে দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে পরিবারটি।

সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার হামিদুর রহমান জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে চারটি সেমিপাকা টিনসেট ঘর পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৯ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৪ লাখ টাকার ঘরবাড়ি, ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী এবং ২ লাখ টাকার নগদ অর্থ রয়েছে।