০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ড. ইউনূসের যে বক্তব্য এখন ফেসবুকে ভাইরাল

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন, তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই একটি নির্বাচিত সরকার।” তাঁর মতে, চলমান রাজনৈতিক সংকটের মূল কারণ ছিল সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা গ্রহণে বাধা প্রদান।

তিনি আরও বলেন, “বাস্তবিক অর্থে, এটি ছিল ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের এক বিজয়।” নির্বাচিত সরকার গঠনের মাধ্যমে জনগণের রায়কে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।

ড. ইউনূস দৃঢ়ভাবে বলেন, “আমাদের কী ধরনের সরকার রয়েছে তা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই, কারণ এটাই ছিল আমাদের সংগ্রামের মূল লক্ষ্য—একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।”

তবে তিনি ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কেও সতর্ক করে দেন। তাঁর ভাষায়, “প্রশ্ন হচ্ছে, ৭৫ মিলিয়ন মানুষের একটি দেশে, যেখানে অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র এবং সরকারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে না সেখানে কার্যকর গণতন্ত্র কেমন হবে?”

এই মন্তব্যের মাধ্যমে ড. ইউনূস স্পষ্ট করেছেন যে, গণতন্ত্র কেবল একটি সরকারব্যবস্থা নয়, বরং একটি কার্যকর প্রক্রিয়া, যেখানে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১১:২০:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
৫১

মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ড. ইউনূসের যে বক্তব্য এখন ফেসবুকে ভাইরাল

আপডেট: ১১:২০:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন, তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই একটি নির্বাচিত সরকার।” তাঁর মতে, চলমান রাজনৈতিক সংকটের মূল কারণ ছিল সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা গ্রহণে বাধা প্রদান।

তিনি আরও বলেন, “বাস্তবিক অর্থে, এটি ছিল ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের এক বিজয়।” নির্বাচিত সরকার গঠনের মাধ্যমে জনগণের রায়কে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।

ড. ইউনূস দৃঢ়ভাবে বলেন, “আমাদের কী ধরনের সরকার রয়েছে তা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই, কারণ এটাই ছিল আমাদের সংগ্রামের মূল লক্ষ্য—একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।”

তবে তিনি ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কেও সতর্ক করে দেন। তাঁর ভাষায়, “প্রশ্ন হচ্ছে, ৭৫ মিলিয়ন মানুষের একটি দেশে, যেখানে অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র এবং সরকারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে না সেখানে কার্যকর গণতন্ত্র কেমন হবে?”

এই মন্তব্যের মাধ্যমে ড. ইউনূস স্পষ্ট করেছেন যে, গণতন্ত্র কেবল একটি সরকারব্যবস্থা নয়, বরং একটি কার্যকর প্রক্রিয়া, যেখানে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।