১১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

ডিমোলা উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক রুহুল মোছাদ্দেক এর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রহুল মোছাদ্দেক এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্তের নামে প্রহসন, হয়রানী ও হুমকির প্রতিবাদ ও অপসারণের দাবিতে ডিমলা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

বুধবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় ডিমলা উপজেলার বিজয় চত্ত্বরে ডিমলা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির ব্যানারে ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

নীলফামারীর জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলের মুখপাত্র ও ডিমলা উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান রাশেদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি মোসাহেদুল ইসলাম মানিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারীর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল প্রধান, যুগ্ম সদস্য সচিব জাফর হোসেন জাকির প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার দুর্নীতির খবর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ হয় । বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রুহুল মোছাদ্দেকের বিরুদ্ধে গত ১৬ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে নীলফামারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সৈয়দ আতিকুল হক গত ১৭ মার্চ কিশোরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তহিদুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত কর্মকর্তা ও কিশোরগঞ্জ খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তৌহিদুর ইসলাম গত ২৪ মার্চ/২৫ ইং তারিখে ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে তদন্তের জন্য আসেন। তদন্তেকালে চারজন অভিযোগকারী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বক্তব্য দেওয়ার জন্য উপস্থিত হলে সেখানে চিহ্নিত একটি দলের এক প্রভাবশালী নেতার নেতৃত্বে পূর্ব হতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে শতাধিক বহিরাগত যুবক অভিযোগকারী চার ব্যক্তিকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে সাক্ষ্য প্রদানে বিঘ্নতা সৃষ্টি করেন মর্মে মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন নীলফামারী জেলা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র ও ডিমলা উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান রাশেদ । তিনি আরো বলেন সরকারী খাদ্য গুদাম সংরক্ষিত এলাকা হলেও কিভাবে আওয়ামী দোসর ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার লোকজন সেখানে উপস্থিত বিষয়টি বোদগম্য নয়।

তদন্তের নামে প্রহসণ, একই পদস্থ কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করা যায় কি-না, তদন্তের নামে হেনস্তা করা ও সংরক্ষিত এলাকায় পূর্বপরিকল্পিত মব জাস্টিস পরিবেশ তৈরি করার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তাঁরা।

বক্তারা আরও বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে যদি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনের ছবি দেখাতে হয় তবে সাধারণ মানুষ কেমন করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলবে? কেমন করে দেশ থেকে দুর্নীতি, লুটপাট, অন্যায়, অনিয়ম দুর হবে? শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালায়ন করলেও তার দোসরা এখনও ঘাপটি মেরে জনগণের রক্ত শোসন করতে। খাদ্য কর্মকর্তার তদন্তে যা পরিলক্ষিত হয়েছে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্নীতিবাজ ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রুহুল মোছাদ্দেককে অপসারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৫:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
১৩১

ডিমোলা উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক রুহুল মোছাদ্দেক এর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট: ০৫:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রহুল মোছাদ্দেক এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্তের নামে প্রহসন, হয়রানী ও হুমকির প্রতিবাদ ও অপসারণের দাবিতে ডিমলা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

বুধবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় ডিমলা উপজেলার বিজয় চত্ত্বরে ডিমলা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির ব্যানারে ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

নীলফামারীর জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলের মুখপাত্র ও ডিমলা উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান রাশেদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি মোসাহেদুল ইসলাম মানিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারীর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল প্রধান, যুগ্ম সদস্য সচিব জাফর হোসেন জাকির প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার দুর্নীতির খবর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ হয় । বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রুহুল মোছাদ্দেকের বিরুদ্ধে গত ১৬ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে নীলফামারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সৈয়দ আতিকুল হক গত ১৭ মার্চ কিশোরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তহিদুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত কর্মকর্তা ও কিশোরগঞ্জ খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তৌহিদুর ইসলাম গত ২৪ মার্চ/২৫ ইং তারিখে ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে তদন্তের জন্য আসেন। তদন্তেকালে চারজন অভিযোগকারী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বক্তব্য দেওয়ার জন্য উপস্থিত হলে সেখানে চিহ্নিত একটি দলের এক প্রভাবশালী নেতার নেতৃত্বে পূর্ব হতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে শতাধিক বহিরাগত যুবক অভিযোগকারী চার ব্যক্তিকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে সাক্ষ্য প্রদানে বিঘ্নতা সৃষ্টি করেন মর্মে মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন নীলফামারী জেলা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র ও ডিমলা উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান রাশেদ । তিনি আরো বলেন সরকারী খাদ্য গুদাম সংরক্ষিত এলাকা হলেও কিভাবে আওয়ামী দোসর ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার লোকজন সেখানে উপস্থিত বিষয়টি বোদগম্য নয়।

তদন্তের নামে প্রহসণ, একই পদস্থ কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করা যায় কি-না, তদন্তের নামে হেনস্তা করা ও সংরক্ষিত এলাকায় পূর্বপরিকল্পিত মব জাস্টিস পরিবেশ তৈরি করার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তাঁরা।

বক্তারা আরও বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে যদি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনের ছবি দেখাতে হয় তবে সাধারণ মানুষ কেমন করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলবে? কেমন করে দেশ থেকে দুর্নীতি, লুটপাট, অন্যায়, অনিয়ম দুর হবে? শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালায়ন করলেও তার দোসরা এখনও ঘাপটি মেরে জনগণের রক্ত শোসন করতে। খাদ্য কর্মকর্তার তদন্তে যা পরিলক্ষিত হয়েছে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্নীতিবাজ ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রুহুল মোছাদ্দেককে অপসারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন।