১১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করলেই কঠোর শাস্তি: আইন উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্ষণের মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রেও কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (২০০০) সংশোধনীতে ধর্ষণের মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে। আগে বিধান ছিল মিথ্যা মামলার যারা ভিকটিম তাদের অভিযোগ জানাতে হতো। বর্তমান সংশোধিত আইনে ধর্ষণের বিচারের মামলার রায় ঘোষণার পর বিচারকের যদি মনে হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দেওয়া হয়েছে তাহলে তিনি (বিচারক) স্বতপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, আদালত চাইলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই ধর্ষণ মামলার বিচার করতে পারবে। এক্ষেত্রে আইনের অপব্যবহার হতে পারে। সে রকমটা হলে পরবর্তীতে আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।’

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘নতুন সংশোধনী অনুযায়ী আমি আগেই বলেছিলাম বিচার ও তদন্তের সময় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাপারে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদ।’

তিনি জানান, শুধু শিশু ধর্ষণ মামলার আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া আমরা ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে কিছু ডেফিনেশন এনেছি। শুধু পুরুষ কর্তৃক না যেকোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য করা হচ্ছে। যেকোনো ফর্মে ধর্ষণকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘তৃতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকত। আমরা এই আইনে বিধান করেছি ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত যদি মনে করে মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, তাহলে আদালত ডিএনএ সার্টিফিকেট ছাড়াই মামলা দ্রুত বিচার করবে। এছাড়া আমরা ভিকটিমদের প্রটেকশনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা করেছি। ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছি এবং ধর্ষণকালে জখমের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছি।’

আসিফ নজরুল জানান, আগামী বৃহস্পতিবার এটা চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে আশা করছি। এরপর খুব দ্রুত গেজেট নোটিফিকেশনও হয়ে যাবে। তবে ক্লিয়ার করি, এর সঙ্গে মাগুরা হত্যা ও ধর্ষণ মামলার বিচারের সম্পর্ক নেই। ওই বিচার এগিয়ে চলেছে নিজস্ব গতিতে এবং আমরা মনে করি খুবই দ্রুততার সাথে এই মামলার বিচার হবে। ওই মামলার ডিএনএ রিপোর্ট আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই মামলার বিচার শুরু হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৮:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
৩১

ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করলেই কঠোর শাস্তি: আইন উপদেষ্টা

আপডেট: ০৮:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্ষণের মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রেও কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (২০০০) সংশোধনীতে ধর্ষণের মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে। আগে বিধান ছিল মিথ্যা মামলার যারা ভিকটিম তাদের অভিযোগ জানাতে হতো। বর্তমান সংশোধিত আইনে ধর্ষণের বিচারের মামলার রায় ঘোষণার পর বিচারকের যদি মনে হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দেওয়া হয়েছে তাহলে তিনি (বিচারক) স্বতপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, আদালত চাইলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই ধর্ষণ মামলার বিচার করতে পারবে। এক্ষেত্রে আইনের অপব্যবহার হতে পারে। সে রকমটা হলে পরবর্তীতে আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।’

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘নতুন সংশোধনী অনুযায়ী আমি আগেই বলেছিলাম বিচার ও তদন্তের সময় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাপারে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদ।’

তিনি জানান, শুধু শিশু ধর্ষণ মামলার আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া আমরা ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে কিছু ডেফিনেশন এনেছি। শুধু পুরুষ কর্তৃক না যেকোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য করা হচ্ছে। যেকোনো ফর্মে ধর্ষণকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘তৃতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকত। আমরা এই আইনে বিধান করেছি ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত যদি মনে করে মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, তাহলে আদালত ডিএনএ সার্টিফিকেট ছাড়াই মামলা দ্রুত বিচার করবে। এছাড়া আমরা ভিকটিমদের প্রটেকশনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা করেছি। ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছি এবং ধর্ষণকালে জখমের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছি।’

আসিফ নজরুল জানান, আগামী বৃহস্পতিবার এটা চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে আশা করছি। এরপর খুব দ্রুত গেজেট নোটিফিকেশনও হয়ে যাবে। তবে ক্লিয়ার করি, এর সঙ্গে মাগুরা হত্যা ও ধর্ষণ মামলার বিচারের সম্পর্ক নেই। ওই বিচার এগিয়ে চলেছে নিজস্ব গতিতে এবং আমরা মনে করি খুবই দ্রুততার সাথে এই মামলার বিচার হবে। ওই মামলার ডিএনএ রিপোর্ট আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই মামলার বিচার শুরু হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।