০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

শার্শায় বিএনপির কমিটিতে পদ পেলেন জামায়াত নেতা, তৃণমূলে ব্যাপক ক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে কামরুজ্জামান মুন্না নামে এক জামায়াতের সক্রিয় নেতা সহ-সাংগঠনিক পদে নিযুক্ত হওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

কামরুজামান মুন্নার পূরণ করা জামায়াতের একটি সদস্য ফরম সামনে আসলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় তৃনমুল নেতাকর্মীরা তাকে অনতিবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিও জানিয়েছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, কায়বা ইউনিয়নের বাগুড়ী গ্রামের আবু তলেব মাষ্টারের ছেলে কামরুজ্জামান মুন্না পেশায় একজন জমি পরিমাপকারী (আমিন)। তিনি ২০২১ সাল থেকে জামায়াতের সদস্য ফরম পূরণ করা একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। হঠ্যাৎ গত ৫ আগষ্টে বাংলাদেশর রাজনীতির পটপরিবর্তন হলে তিনি সুযোগ বুঝে বিএনপির রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা শুরু করেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি হলে তিনি ওই কমিটিতে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন। বিষয়টি জানাননি হলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা উপজেলা ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে তার বহিষ্কারের দাবী জানান।

কায়বা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিন জানান, কামরুজ্জামান মুন্না জামায়াতের ফরম পূরণ করে সদস্য হয়ে দীর্ঘদিন সক্রিয় কর্মী হিসেবে ছিলো। তবে গত ৫ আগষ্টে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পলানোর পর তিনি বিএনপিতে চলে গেছেন।

কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রবিউল হোসেন জানান, এমন ঘটনা কাম্য নয়। যদি মুন্নার জামায়াতের সক্রিয় সদস্য থাকার কোন প্রমান পায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে উদ্বর্তন নেতাদের কাছে সুপারিশ করবো।
তবে এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করে কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জানান, ৫ আগষ্টের আগে এমন অনেকে বিভিন্ন দলে ছড়িয়ে ছিলো। মুন্নাও হয়তো জামায়াতের কর্মি হয়েছিলো। তবে সে আগে বিএনপি করতো বলে তিনি দাবী করেন।

অভিযুক্ত কামরুজ্জামান মুন্না জানান, জামায়াতের নেতাকর্মীদের সাথে তার পিতার সুসম্পর্কে জের ধরে তিনি তাদের সাথে চলতেন। তবে এ সময় তিনি জামায়াতে সদস্য ফরম পুরণ করার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান এবং অস্বীকার করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৮:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
৮২

শার্শায় বিএনপির কমিটিতে পদ পেলেন জামায়াত নেতা, তৃণমূলে ব্যাপক ক্ষোভ

আপডেট: ০৮:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে কামরুজ্জামান মুন্না নামে এক জামায়াতের সক্রিয় নেতা সহ-সাংগঠনিক পদে নিযুক্ত হওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

কামরুজামান মুন্নার পূরণ করা জামায়াতের একটি সদস্য ফরম সামনে আসলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় তৃনমুল নেতাকর্মীরা তাকে অনতিবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিও জানিয়েছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, কায়বা ইউনিয়নের বাগুড়ী গ্রামের আবু তলেব মাষ্টারের ছেলে কামরুজ্জামান মুন্না পেশায় একজন জমি পরিমাপকারী (আমিন)। তিনি ২০২১ সাল থেকে জামায়াতের সদস্য ফরম পূরণ করা একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। হঠ্যাৎ গত ৫ আগষ্টে বাংলাদেশর রাজনীতির পটপরিবর্তন হলে তিনি সুযোগ বুঝে বিএনপির রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা শুরু করেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি হলে তিনি ওই কমিটিতে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন। বিষয়টি জানাননি হলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা উপজেলা ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে তার বহিষ্কারের দাবী জানান।

কায়বা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিন জানান, কামরুজ্জামান মুন্না জামায়াতের ফরম পূরণ করে সদস্য হয়ে দীর্ঘদিন সক্রিয় কর্মী হিসেবে ছিলো। তবে গত ৫ আগষ্টে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পলানোর পর তিনি বিএনপিতে চলে গেছেন।

কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রবিউল হোসেন জানান, এমন ঘটনা কাম্য নয়। যদি মুন্নার জামায়াতের সক্রিয় সদস্য থাকার কোন প্রমান পায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে উদ্বর্তন নেতাদের কাছে সুপারিশ করবো।
তবে এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করে কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জানান, ৫ আগষ্টের আগে এমন অনেকে বিভিন্ন দলে ছড়িয়ে ছিলো। মুন্নাও হয়তো জামায়াতের কর্মি হয়েছিলো। তবে সে আগে বিএনপি করতো বলে তিনি দাবী করেন।

অভিযুক্ত কামরুজ্জামান মুন্না জানান, জামায়াতের নেতাকর্মীদের সাথে তার পিতার সুসম্পর্কে জের ধরে তিনি তাদের সাথে চলতেন। তবে এ সময় তিনি জামায়াতে সদস্য ফরম পুরণ করার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান এবং অস্বীকার করেন।