কুড়িগ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করায় প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক করে, বিয়ে করতে অস্বীকার করায় প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশনে বসেছে।
রোববার (২ মার্চ) সকাল থেকে কুড়িগ্রাম জেলা সদরের পাঁচগাছি শত্রূপুর গ্রামের মামুন রানার বাড়িতে একই গ্রামের সানজিদা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী স্বপ্না রানী (ছদ্মনাম) বিয়ের দাবিতে অনশনে করছেন।
সপ্না রানী অভিযোগ করে বলেন, মামুন রানার সাথে দেড় বছর প্রেম চলে আসছে। কিন্তু সাত মাস থেকে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এর মধ্যে স্বপ্না রানী বিভিন্নভাবে বিয়ের চাপ দিলেও মাসুদ রানা বিভিন্ন তালবাহানা দিয়ে বিষয়টি এরিয়ে যান। স্বপ্না রানী আরো জানান, মামুন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সাত মাস ধরে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো। গত পরশুদিনও মামুনের কর্মস্থল এলাকা বগুড়া আদমদিঘীতে আমাকে ডেকে নেয়। সেখানে এক বাসায় কয়েল আনার কথা বলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও ছোট ভাইয়ের সহযোগিতায় বাড়িতে চলে আসি। ঘটনাটি আমার বাসায় জানাজানি হলে বাসার লোকজন আমাকে অন্যত্র বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। আমি মামুনের বাসায় ঢোকার পরপরেই মামুন রানা ও পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।বাসায় আসার পর থেকে আমি অনশন করছি। আমাকে বিয়ে না করলে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন সপ্না রানী।
স্থানীয় প্রতিবেশী মাসুদ রানা বলেন, সকাল থেকে দেখছি স্বপ্না নারী অনশনে রয়েছে। ছেলের পরিবারের লোকজন পলাতক। একই গ্রামে বাড়ি হওয়ায় ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সপ্নার বাবা মা সম্মানের ক্ষতি করায় তাকে মেয়ে হিসেবে অশ্বিকৃতি জানালে উপায় না পেয়ে সে মামুন রানার বাড়িতে অনশনে বসেছে।
মামুন রানার মামাত ভাই আব্দুস সালাম বলেন, সকাল থেকে স্বপ্না রানী বিয়ের দাবিতে মামাদের বাড়িতে এসেছে। আমি এর আগে কিছু কিছু জানতাম এবং তার কাছে কিছু প্রমাণও দেখলাম। মামার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, আমরা এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।