উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে: নড়াইলের লোহাগড়া বাজারের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি পাকা দোকানঘর জমিসহ জোর পূর্বক দখল করে তালাবদ্ধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, লোহাগড়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত লোহাগড়া বাজার, বাজারের একটি দোকানঘর যাহা দলিল মূলে সত্বাধীকারী লোহাগড়া গ্রামের দক্ষিনপাড়ার প্রদীপ কুমার চৌধুরীর স্ত্রী চন্দ্রমুখী চৌধুরী। বিবাদমান দোকানের পাশের দোকানের সত্বাধীকারী উপজেলার যোগীয়া গ্রামের কেএম ওলিয়ার রহমানের ছেলে কেএম ওয়াহিদুজ্জামান।

ওয়াহিদুজ্জামান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা চন্দ্রমুখীর পরিবারকে উচ্ছেদ করে দোকানঘরসহ বসতবাড়ি স্বল্পমুল্যে ক্রয়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে অন্যায় অত্যাচার করে আসছে। ক্রয়ে ব্যর্থ হয়ে জোর দখলের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা প্রকাশ পাওয়ায় চন্দ্রমুখী চৌধুরী আদালতে ১৪৪ ধারা পওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৭ জুন নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নালিশী জমিতে ১৪৪ ধারা জারী করেন। আদালতের উক্ত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওয়াহিদুজ্জামান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গত ৩ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জোর পূর্বক উক্ত দোকান ঘরের তালা ভেঙ্গে তাদের নতুন তালা লাগিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় চন্দ্রমুখী চৌধুরী প্রতিকার চেয়ে গত ৪ জুলাই নড়াইলের জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পুলিশ সুপার, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর আবেদন করেছেন। চন্দ্রমুখী চৌধুরী আক্ষেপ কওে এই প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের ওপর এতো অন্যায় অত্যাচার কেন? অত্যাচারে দেশ ছেড়ে আমাদের চলে যাওয়া ছাড়া কোন পথ নাই। তিনি প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে ওয়াহিদুজ্জামান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ও জোর পূর্বক দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাহার ক্রয়কৃত সম্পত্তির মধ্যে উক্ত দোকানঘর রয়েছে। তিনি অন্যের জমি বা,দোকানঘর দখল করেন নাই।

লোহাগড়া উপজেলা হিন্দু,বৌদ্ধ,খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় কুমার দাস বলেন, আমরা ইতিমধ্যে বিষয়টি অবগত হয়েছি। জেলা কমিটির সাথে আলোচনা করে জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নাসির উদ্দিন চন্দ্রমুখীর দাখিলকৃত অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।