খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ জুন ২৭, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3859 বার
আব্দুল্লাহ আল-মামুন : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পল্লীতে মঞ্জুয়ারা খাতুন (২৭) নামের এক গৃহবধুকে শ্লীলতাহানী ও মারপিট করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ঐ গৃহবধু ঝিকরগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। সে উপজেলার কানাইরালী গ্রামের বাবুল আক্তারের স্ত্রী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৪ বছর আগে কানাইরালী গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে বাবুল আক্তারের সাথে মণিরামপুর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মুজিবর রহমানের মেয়ে মঞ্জুয়ারা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের দুটি পুত্র সন্তান আছে। বাবুল আক্তার বিয়ের পরে সংসার চালাতে হিমশিম খেলে মঞ্জুয়ারা খাতুন পিতার নিকট থেকে টাকা নিয়ে তাকে বিদেশ পাঠায়। বিদেশ যাওয়ার পর গত কয়েক বছর ধরে বাবুল আক্তার মঞ্জুয়ারা খাতুনের সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে এবং তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে। বাবুল আক্তার ১৫/২০ দিন আগে বিদেশ থেকে বাড়ি এসে তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা খাতুনকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করছে।
গত সোমবার রাতে বাবুল আক্তার সহ মৃত কালু মিয়ার ছেলে আজগর আলী, আব্দুল আজিজের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও রেজাউল ইসলাম, মৃত অমেদ আলীর ছেলে গিয়াসউদ্দীন, খোরশেদ আলীর ছেলে সবুর আলী, আজগর আলীর স্ত্রী আয়রন বেগম, আব্দুল আজিজের স্ত্রী তহমিনা বেগম, আজিবর রহমানের স্ত্রী সালেহা বেগম, সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম, রেজাইল ইসলামের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন সংঘবদ্ধ হয়ে মঞ্জুয়ারা খাতুনের ঘরে ঢুকে মারপিট করে এবং শ্লীলতাহানী করে তার গায়ে থাকা জামাকাপড় ছিড়ে দেয়। পরে সে কোনভাবে জীবন বাঁচিয়ে দুটি সন্তান নিয়ে পালিয়ে আসে। এব্যাপারে মঙ্গলবার মঞ্জুয়ারা খাতুন ঝিকরগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
ভুক্তভোগী মঞ্জুয়ারা খাতুন এ প্রতিনিধিকে জানায়, দুটি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে এতদিন অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি। এখন দেখছি, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। আমি আমার দুটি সন্তান নিয়ে স্বামীর সংসার করতে চায়। স্থানীয়ভাবে কোন সমাধান না পেয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। আশা করি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমি সার্বিক সহযোগিতা পাবো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রব জানায়, সব অভিযোগ মিথ্যা। মঞ্জুয়ারা খাতুনকে কেউ মারপিট করেনি। শুধুমাত্র তার দেবর মোবাইল কেড়ে নিতে গিয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানায়, রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মঞ্জুয়ারা খাতুনকে অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছিল। সে যখন পালিয়ে আসে তখন তার গায়ের জামাকাপড় ছেড়া ছিল। পরে সে দুই ছেলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্তকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ হয়নি।