০২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ডিসেম্বরে নির্বাচনের টার্গেট রেখে অক্টোবরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের কাজ সারার চেষ্টায় ইসি

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য ‘ডিসেম্বরকে টার্গেট করে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এমএম নাসির উদ্দিন। আর সেজন্য ‘অক্টোবরের মধ্যেই মাঠ পর্যায়ের সব কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিইসি এসব কথা বলেন। রবিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হলে অনেক স্বাধীনতা দিতে হবে এবং কিছু প্রস্তাব মানতে হবে। সামনে আমাদের একটা যুদ্ধের মাঠে নামতে হবে। নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’

পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটির হাতে নির্বাচন কমিশনের কোনো কাজ গেলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির কাছে নির্ভরশীল হতে চাই না। এই সংক্রান্ত সুপারিশ বাতিল করতে হবে।’

চলমান সংস্কারে সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নতুন দল নিবন্ধনসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন সিইসি। বলেন, ‘ডিসেম্বরে ভোট করতে গেলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে আইন কানুন বিধি বিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।’

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাজ নিয়েও কথা বলেন এ এম এম নাসির উদ্দিন। বলেন, ‘সুপারিশ অনেক কিছু দেওয়া যায়, বাস্তবায়ন করা কঠিন।’

সীমানা নির্ধারণে ইসির হস্তক্ষেপ না রাখার সুপারিশকে দ্বিমত প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা ইসির এখতিয়ার। ভোটার হালনাগাদ এবং সীমানা নির্ধারণের জন্য ইসির বাইরে অন্য কারও হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।’

সিইসি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে কুইক ফেস করা যায় না। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে এখনো কোনো ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। রুলস অফ গেমস কিভাবে হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’

‘নির্বাচন কমিশন সংস্কার প্রস্তাব এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে পাইনি। সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ঠিক করতে হবে। সুতরাং অনেক কিছুই আইনের কারণে আটকে আছে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে কিছু আইন সংশোধন করতে হবে।’

অতীতে মে জুন মাসে অর্থাৎ বর্ষাকালে জাতীয় নির্বাচন হতে দেখেননি জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে অন্তত দুই মাস আগে জানাতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন করতে হলে অক্টোবরেই সিডিউল ঘোষণা করতে হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৫:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
৩৬

ডিসেম্বরে নির্বাচনের টার্গেট রেখে অক্টোবরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের কাজ সারার চেষ্টায় ইসি

আপডেট: ০৫:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য ‘ডিসেম্বরকে টার্গেট করে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এমএম নাসির উদ্দিন। আর সেজন্য ‘অক্টোবরের মধ্যেই মাঠ পর্যায়ের সব কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিইসি এসব কথা বলেন। রবিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হলে অনেক স্বাধীনতা দিতে হবে এবং কিছু প্রস্তাব মানতে হবে। সামনে আমাদের একটা যুদ্ধের মাঠে নামতে হবে। নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’

পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটির হাতে নির্বাচন কমিশনের কোনো কাজ গেলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির কাছে নির্ভরশীল হতে চাই না। এই সংক্রান্ত সুপারিশ বাতিল করতে হবে।’

চলমান সংস্কারে সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নতুন দল নিবন্ধনসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন সিইসি। বলেন, ‘ডিসেম্বরে ভোট করতে গেলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে আইন কানুন বিধি বিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।’

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাজ নিয়েও কথা বলেন এ এম এম নাসির উদ্দিন। বলেন, ‘সুপারিশ অনেক কিছু দেওয়া যায়, বাস্তবায়ন করা কঠিন।’

সীমানা নির্ধারণে ইসির হস্তক্ষেপ না রাখার সুপারিশকে দ্বিমত প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা ইসির এখতিয়ার। ভোটার হালনাগাদ এবং সীমানা নির্ধারণের জন্য ইসির বাইরে অন্য কারও হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।’

সিইসি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে কুইক ফেস করা যায় না। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে এখনো কোনো ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। রুলস অফ গেমস কিভাবে হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’

‘নির্বাচন কমিশন সংস্কার প্রস্তাব এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে পাইনি। সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ঠিক করতে হবে। সুতরাং অনেক কিছুই আইনের কারণে আটকে আছে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে কিছু আইন সংশোধন করতে হবে।’

অতীতে মে জুন মাসে অর্থাৎ বর্ষাকালে জাতীয় নির্বাচন হতে দেখেননি জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে অন্তত দুই মাস আগে জানাতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন করতে হলে অক্টোবরেই সিডিউল ঘোষণা করতে হবে।’