জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2045 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও অন্য কমিশনাররা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র আড়াই বছরের মাথায় বিদায় নিচ্ছে আউয়াল কমিশন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নির্বাচন ভবনে সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়কালে এ ঘোষণা দেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, “আমরা পদত্যাগপত্র ইসি সচিবের কাছে জমা দিয়েছি।”
দুপর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন সিইসি হাবিবুল আউয়াল। বিদায়ী বক্তব্যে তিনি তার কমিশনের দায়িত্ব পালনকালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের নানা তথ্য তুলে ধরেন।
এসময় তিনি বলেন, “২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ব্যক্তির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে, দলের মধ্যে নয়।”
“ওই নির্বাচনে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এতে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো অংশগ্রহণ না করায় নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি।” বলেন বিদায়ী সিইসি।
এর আগে বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শেষবারের মতো ‘সৌজন্য বিনিময়’ করেন কমিশনাররা।
২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিযুক্ত হন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ নির্বাচন কমিশনাররা হলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।
নতুন কমিশন নিয়োগের একদিন পর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে শপথ নেন। ওই কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যা বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর বর্জনের মধ্য দিয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়ে। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর থেকে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর প্রশাসনে থাকা আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সময় বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিলোপ করে নতুন কমিশন গঠনেরও দাবি ওঠে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালিত হয়েছে।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নির্বাচন কমিশনেও সংস্কার আসছে- এটি নিশ্চিত বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনাররা। সে জন্য কয়েকদিন ধরেই তারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।