০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

নিখোঁজের চারদিন পর শার্শায় ভ্যানচালকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০১:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিখোঁজের চারদিন পর যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণের কাজীরবেড় গ্রাম থেকে আব্দুল্লাহ (২৫) নামে এক ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর-২০২৫) সকাল ১০টার দিকে একটি পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের স্টিলের বাক্স থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আব্দুল্লাহ শার্শার গাতিপাড়া গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেলে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে জীবিকার তাগিদে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় আব্দুল্লাহ। এরপর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বহু খোঁজাখুঁজির পর ১১ অক্টোবর শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা ইউনুস আলী।

ইউনুস আলী জানান, “মঙ্গলবার ভোরে খবর পাই আমার ছেলের লাশ পাওয়া গেছে। গিয়ে দেখি নির্মমভাবে আমার ছেলেকে মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। এটা কোনো সাধারণ মৃত্যু না, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

এদিকে লাশ উদ্ধারের খবরে কাজীরবেড় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভিড় জমে উৎসুক জনতার। আর শোকের ছায়া নেমে আসে গাতিপাড়া গ্রামে।

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল আলীম জানান, “স্থানীয়দের দেয়া খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

Please Share This Post in Your Social Media

নিখোঁজের চারদিন পর শার্শায় ভ্যানচালকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট: ০১:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিখোঁজের চারদিন পর যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণের কাজীরবেড় গ্রাম থেকে আব্দুল্লাহ (২৫) নামে এক ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর-২০২৫) সকাল ১০টার দিকে একটি পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের স্টিলের বাক্স থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আব্দুল্লাহ শার্শার গাতিপাড়া গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেলে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে জীবিকার তাগিদে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় আব্দুল্লাহ। এরপর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বহু খোঁজাখুঁজির পর ১১ অক্টোবর শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা ইউনুস আলী।

ইউনুস আলী জানান, “মঙ্গলবার ভোরে খবর পাই আমার ছেলের লাশ পাওয়া গেছে। গিয়ে দেখি নির্মমভাবে আমার ছেলেকে মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। এটা কোনো সাধারণ মৃত্যু না, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

এদিকে লাশ উদ্ধারের খবরে কাজীরবেড় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভিড় জমে উৎসুক জনতার। আর শোকের ছায়া নেমে আসে গাতিপাড়া গ্রামে।

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল আলীম জানান, “স্থানীয়দের দেয়া খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”