১১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

এমন ইউএনও এর আগে পায়নি ঝিকরগাছার জনগন

নিউজ ডেস্ক

আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : কখনও শুনেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাদাঁমাটির রাস্তায় হেঁটে, পায়ে কাঁদা মেখে দেশের মাটি ও মানুষের মঙ্গলের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে গিয়েছেন অথবা সাধারণ জনতার কথা শোনার জন্য প্রতিদিন নিজ দপ্তরে নিয়ম করে সময় দিচ্ছেন, রাত ৮/৯টা পর্যন্ত অফিস করছেন?

এমন একজন ব্যতিক্রমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভূপালী সরকার। তিনি একজন নারী, একজন মা, ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসক।

দেশ সেবার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে তিনি অবিরাম ছুটে চলেছেন ঝিকরগাছাকে পরিবর্তন করার লক্ষ্যে। শুক্রবার বা শনিবার তার কর্মব্যস্ততা আরও বেড়ে যায়। বন্ধের দিনেও তিনি নিয়মিত ভাবে বাজার মনিটরিং, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান, সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করে চলেছেন। বিগত ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে সকল সরকারি কর্মকর্তা যখন নিজ বাড়িতে চলে গেছেন তখনও তিনি ঝিকরগাছার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে বেড়িয়েছেন। এ যেন ক্লান্তিহীন এক সেনাপতি যিনি তার লক্ষ্যে অবিচল থেকে ছুটছেন অবিরত।

ঝিকরগাছায় যোগদানের পর থেকে অতিসাধারণ সাদাসিধে জীবনযাপন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের সাথে আন্ত:সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে তিনি জয় করে নিয়েছেন আপামর সাধারণ মানুষের ভালোবাসা। ঝিকরগাছার সব জায়গায় তার পদচারণা।

কোথাও কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি বা এলাকার জন্য ক্ষতিকর এরকম কোনো কর্মকান্ডের কথা শুনলেই তিনি স্ব শরীরে সেখানে ছুটে যান। শত ব্যস্ততার মাঝেও উপজেলা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত সকল সভা এবং অনুষ্ঠানের আয়োজনে কখনও বিরত দেননি তিনি। যেকোনো তথ্যের জন্য তার কাছে গেলে বা ফোন দিলে হাসিমুখে সেই তথ্য জানিয়ে দেন।

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকারি বরাদ্দের খবর যেগুলো আগে সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা গোপন রাখার চেষ্টা করতো সেসকল তথ্য তিনি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। ঝিকরগাছার মানুষ এখন খুব সহজেই জানতে পারছেন তার এলাকায় কি কি উন্নয়ন মূলক কাজ হচ্ছে বা কত টাকার কাজ হচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স নীতি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীনতার কারণে ঝিকরগাছার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে তিনি মোটামুটি সফল হয়েছেন।

ইউএনও ভুপালী সরকার বলেন, আমি একজন সরকারি কর্মচারী। আমার কাজ জনগণের সেবা দেওয়া। ঝিকরগাছায় এসেছি কাজ করতে। যতদিন এখানে আছি ততদিন এই জনপদ আমার বাড়ি ঘর সবকিছু। এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে নির্ধারিত আইনের মধ্যে সরকারের সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা আমার দায়িত্ব। এটা করতে গিয়ে কখনো কখনো খুব কঠিন হতে হয়। অনেকের বিরাগভাজন হতে হয়। কিন্তু এটাই আমার কাজ। আগামীর জন্য সুন্দর, পরিচ্ছন্ন একটি ঝিকরগাছা গড়ার লক্ষ্যেই ঝিকরগাছার সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাবো। আমি ভালো করেছি নাকি খারাপ করেছি তার মুল্যায়ন আপনারা করবেন।

uno Jhikargachha নামের ফেসবুক আইডিতে উপজেলার সকল দপ্তরের তথ্য শেয়ার করার মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তিকে সহজ করে দিয়েছেন ভুপালী সরকার। সেই ফেসবুক পেজের কমেন্ট দেখলেই বোঝা যায় তিনি কতটা জনপ্রিয়। তার হাত ধরে ঝিকরগাছা উপজেলা একটি উন্নত, দুর্নীতিমুক্ত, আদর্শ মডেল উপজেলায় পরিনত হবে এটাই আশা ঝিকরগাছা উপজেলাবাসীর।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৩:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
২৬৫

এমন ইউএনও এর আগে পায়নি ঝিকরগাছার জনগন

আপডেট: ০৩:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : কখনও শুনেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাদাঁমাটির রাস্তায় হেঁটে, পায়ে কাঁদা মেখে দেশের মাটি ও মানুষের মঙ্গলের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে গিয়েছেন অথবা সাধারণ জনতার কথা শোনার জন্য প্রতিদিন নিজ দপ্তরে নিয়ম করে সময় দিচ্ছেন, রাত ৮/৯টা পর্যন্ত অফিস করছেন?

এমন একজন ব্যতিক্রমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভূপালী সরকার। তিনি একজন নারী, একজন মা, ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসক।

দেশ সেবার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে তিনি অবিরাম ছুটে চলেছেন ঝিকরগাছাকে পরিবর্তন করার লক্ষ্যে। শুক্রবার বা শনিবার তার কর্মব্যস্ততা আরও বেড়ে যায়। বন্ধের দিনেও তিনি নিয়মিত ভাবে বাজার মনিটরিং, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান, সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করে চলেছেন। বিগত ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে সকল সরকারি কর্মকর্তা যখন নিজ বাড়িতে চলে গেছেন তখনও তিনি ঝিকরগাছার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে বেড়িয়েছেন। এ যেন ক্লান্তিহীন এক সেনাপতি যিনি তার লক্ষ্যে অবিচল থেকে ছুটছেন অবিরত।

ঝিকরগাছায় যোগদানের পর থেকে অতিসাধারণ সাদাসিধে জীবনযাপন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের সাথে আন্ত:সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে তিনি জয় করে নিয়েছেন আপামর সাধারণ মানুষের ভালোবাসা। ঝিকরগাছার সব জায়গায় তার পদচারণা।

কোথাও কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি বা এলাকার জন্য ক্ষতিকর এরকম কোনো কর্মকান্ডের কথা শুনলেই তিনি স্ব শরীরে সেখানে ছুটে যান। শত ব্যস্ততার মাঝেও উপজেলা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত সকল সভা এবং অনুষ্ঠানের আয়োজনে কখনও বিরত দেননি তিনি। যেকোনো তথ্যের জন্য তার কাছে গেলে বা ফোন দিলে হাসিমুখে সেই তথ্য জানিয়ে দেন।

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকারি বরাদ্দের খবর যেগুলো আগে সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা গোপন রাখার চেষ্টা করতো সেসকল তথ্য তিনি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। ঝিকরগাছার মানুষ এখন খুব সহজেই জানতে পারছেন তার এলাকায় কি কি উন্নয়ন মূলক কাজ হচ্ছে বা কত টাকার কাজ হচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স নীতি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীনতার কারণে ঝিকরগাছার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে তিনি মোটামুটি সফল হয়েছেন।

ইউএনও ভুপালী সরকার বলেন, আমি একজন সরকারি কর্মচারী। আমার কাজ জনগণের সেবা দেওয়া। ঝিকরগাছায় এসেছি কাজ করতে। যতদিন এখানে আছি ততদিন এই জনপদ আমার বাড়ি ঘর সবকিছু। এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে নির্ধারিত আইনের মধ্যে সরকারের সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা আমার দায়িত্ব। এটা করতে গিয়ে কখনো কখনো খুব কঠিন হতে হয়। অনেকের বিরাগভাজন হতে হয়। কিন্তু এটাই আমার কাজ। আগামীর জন্য সুন্দর, পরিচ্ছন্ন একটি ঝিকরগাছা গড়ার লক্ষ্যেই ঝিকরগাছার সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাবো। আমি ভালো করেছি নাকি খারাপ করেছি তার মুল্যায়ন আপনারা করবেন।

uno Jhikargachha নামের ফেসবুক আইডিতে উপজেলার সকল দপ্তরের তথ্য শেয়ার করার মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তিকে সহজ করে দিয়েছেন ভুপালী সরকার। সেই ফেসবুক পেজের কমেন্ট দেখলেই বোঝা যায় তিনি কতটা জনপ্রিয়। তার হাত ধরে ঝিকরগাছা উপজেলা একটি উন্নত, দুর্নীতিমুক্ত, আদর্শ মডেল উপজেলায় পরিনত হবে এটাই আশা ঝিকরগাছা উপজেলাবাসীর।