০৯:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শার্শায় পাওনা টাকা চাওয়ায় বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা

নিউজ ডেস্ক

বাগআঁচড়া প্রতিনিধি : যশোরের শার্শায় পাওনা টাকা চাওয়ায় চরেমানাইর মুরিদ অপু আওয়ামীলীগ কর্মীর স্ত্রী রহিমা খাতুন (৭০) নামে এক বৃদ্ধা মহিলাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ( ৪জানুয়াির) দুপুরে উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের পিঁপড়াগাছি গ্রামে। নিহত রহিমা খাতুন এই গ্রামের মৃত নবীছদ্দীন গাজীর স্ত্রী। এ ঘটনার পরপর হত্যাকারী অপু হোসেন(৩০) ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত রহিমা খাতুনের ছেলে মিজানুর প্রতিবেশী আব্দুস সামাদের ছেলে অপু’র কাছে কয়েক বছর আগে থেকে ২০ হাজার টাকা পাবে। পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রায়ই দু’পরিবারের মাঝে ঝগড়াঝাটি হতো। এ দিন দুপুরবেলা রহিমার সাথে অপুর কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অপু রহিমাকে রহিমা মাথায় আঘাত করলে সে জ্ঞান হারায়। স্থানীয়রা প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

প্রতাক্ষদর্শী ফিরোজা খাতুন জানান, গন্ডগোলের আওয়াজ পেয়ে বাইরে এসে দেখেন অপু রহিমাকে মারধোর করছ। এ সময় অপু লাঠি দিয়ে রহিমার মাথায় আঘাত করলে সে পাঁকা রাস্তার উপর পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারালে তার পরিবারের লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে শুনেন রহিমা মারা গেছেন।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল হোসেন জানান, তিনি হত্যাকান্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৮:৪৩:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শার্শায় পাওনা টাকা চাওয়ায় বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা

আপডেট: ০৮:৪৩:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাগআঁচড়া প্রতিনিধি : যশোরের শার্শায় পাওনা টাকা চাওয়ায় চরেমানাইর মুরিদ অপু আওয়ামীলীগ কর্মীর স্ত্রী রহিমা খাতুন (৭০) নামে এক বৃদ্ধা মহিলাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ( ৪জানুয়াির) দুপুরে উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের পিঁপড়াগাছি গ্রামে। নিহত রহিমা খাতুন এই গ্রামের মৃত নবীছদ্দীন গাজীর স্ত্রী। এ ঘটনার পরপর হত্যাকারী অপু হোসেন(৩০) ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত রহিমা খাতুনের ছেলে মিজানুর প্রতিবেশী আব্দুস সামাদের ছেলে অপু’র কাছে কয়েক বছর আগে থেকে ২০ হাজার টাকা পাবে। পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রায়ই দু’পরিবারের মাঝে ঝগড়াঝাটি হতো। এ দিন দুপুরবেলা রহিমার সাথে অপুর কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অপু রহিমাকে রহিমা মাথায় আঘাত করলে সে জ্ঞান হারায়। স্থানীয়রা প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

প্রতাক্ষদর্শী ফিরোজা খাতুন জানান, গন্ডগোলের আওয়াজ পেয়ে বাইরে এসে দেখেন অপু রহিমাকে মারধোর করছ। এ সময় অপু লাঠি দিয়ে রহিমার মাথায় আঘাত করলে সে পাঁকা রাস্তার উপর পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারালে তার পরিবারের লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে শুনেন রহিমা মারা গেছেন।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল হোসেন জানান, তিনি হত্যাকান্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন।