০৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

ঝিকরগাছায় বয়স্ক ভাতার সার্ভারে প্রতারকের নম্বর, থানায় অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০১:৪৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • /

আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের ঝিকরগাছায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন বয়স্ক ভাতার টাকা ভাতা ভোগীর নগদ একাউন্টে না ঢুকে এক প্রতারকের নম্বরে ঢোকার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের ১নং কলোনী পাড়ার মৃত আব্দুল কাদেরের স্ত্রী মোছাঃ আমেনা বেগম (৭৮) এই বিষয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোছাঃ আমেনা বেগম সমাজসেবা অধিদপ্তর ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বয়স্ক ভাতা ভোগী (বই নং–৯০৪৫)। ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে মাসিক ৬০০ টাকা করে ভাতা পাওয়ার কথা থাকলেও অদ্যাবধি নিজের ব্যবহৃত নগদ নাম্বারে তিনি কোনো টাকা পাননি।
আমেনা বেগম এই প্রতিবেদককে জানান, গতবছর টাকা না পেয়ে ঝিকরগাছা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি আমার নামে বরাদ্দকৃত ভাতার টাকা ০১৮৬৯-১৩৮৩০৫ (নগদ) নাম্বারের মাধ্যমে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মোবাইলে ঢুকেছে। তখন আমি অফিসে সব কাগজপত্র ঠিক করে আমার নিজের নগদ নম্বর দিয়ে আসি। পরবর্তীতে টাকা না পেয়ে আবারও অফিসে যোগাযোগ করলে তারা পূর্বের নম্বরেই টাকা গিয়েছে বলে জানায়। তখন আমি আবারও আমার নম্বর যুক্ত করার আবেদন করি। কিন্তু সর্বশেষ এই মাসেও টাকা আমার নম্বরে আসেনি। গত ২০ অক্টোবর আবারও সমাজসেবা অফিসে গিয়ে শুনি টাকা সেই নম্বরেই গিয়েছে। বারবার নম্বর পরিবর্তনের আবেদন করার পরও অন্য নম্বরে টাকা যাওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করলেও ২ বছরে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঝিকরগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করে এ বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আমেনা বেগম।

এদিকে ০১৮৬৯১৩৮৩০৫ নম্বরে ফোন দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায় কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে ট্রু কলার সফটওয়্যারে নম্বরটির বিপরীতে “প্রতারক” লেখা ভেসে ওঠে।

এ বিষয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, হতে পারে যখন আমেনা বেগম ফরম পূরণ করেছিলেন তখন এই নম্বরটি দিয়েছিলেন। আবেদন ফর্মের হার্ডকপি অফিসে সংরক্ষিত আছে কিনা সেটা দেখে শিওর হওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

ঝিকরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ গাজী বলেন, গরীব মানুষের টাকা যে বা যারা আত্মসাৎ করেছে তাদেরকে খুঁজে বের করতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ঝিকরগাছায় বয়স্ক ভাতার সার্ভারে প্রতারকের নম্বর, থানায় অভিযোগ

আপডেট: ০১:৪৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের ঝিকরগাছায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন বয়স্ক ভাতার টাকা ভাতা ভোগীর নগদ একাউন্টে না ঢুকে এক প্রতারকের নম্বরে ঢোকার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের ১নং কলোনী পাড়ার মৃত আব্দুল কাদেরের স্ত্রী মোছাঃ আমেনা বেগম (৭৮) এই বিষয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোছাঃ আমেনা বেগম সমাজসেবা অধিদপ্তর ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বয়স্ক ভাতা ভোগী (বই নং–৯০৪৫)। ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে মাসিক ৬০০ টাকা করে ভাতা পাওয়ার কথা থাকলেও অদ্যাবধি নিজের ব্যবহৃত নগদ নাম্বারে তিনি কোনো টাকা পাননি।
আমেনা বেগম এই প্রতিবেদককে জানান, গতবছর টাকা না পেয়ে ঝিকরগাছা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি আমার নামে বরাদ্দকৃত ভাতার টাকা ০১৮৬৯-১৩৮৩০৫ (নগদ) নাম্বারের মাধ্যমে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মোবাইলে ঢুকেছে। তখন আমি অফিসে সব কাগজপত্র ঠিক করে আমার নিজের নগদ নম্বর দিয়ে আসি। পরবর্তীতে টাকা না পেয়ে আবারও অফিসে যোগাযোগ করলে তারা পূর্বের নম্বরেই টাকা গিয়েছে বলে জানায়। তখন আমি আবারও আমার নম্বর যুক্ত করার আবেদন করি। কিন্তু সর্বশেষ এই মাসেও টাকা আমার নম্বরে আসেনি। গত ২০ অক্টোবর আবারও সমাজসেবা অফিসে গিয়ে শুনি টাকা সেই নম্বরেই গিয়েছে। বারবার নম্বর পরিবর্তনের আবেদন করার পরও অন্য নম্বরে টাকা যাওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করলেও ২ বছরে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঝিকরগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করে এ বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আমেনা বেগম।

এদিকে ০১৮৬৯১৩৮৩০৫ নম্বরে ফোন দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায় কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে ট্রু কলার সফটওয়্যারে নম্বরটির বিপরীতে “প্রতারক” লেখা ভেসে ওঠে।

এ বিষয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, হতে পারে যখন আমেনা বেগম ফরম পূরণ করেছিলেন তখন এই নম্বরটি দিয়েছিলেন। আবেদন ফর্মের হার্ডকপি অফিসে সংরক্ষিত আছে কিনা সেটা দেখে শিওর হওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

ঝিকরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ গাজী বলেন, গরীব মানুষের টাকা যে বা যারা আত্মসাৎ করেছে তাদেরকে খুঁজে বের করতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।