বাঘারপাড়া খাজুরার কৃতি সন্তান অধ্যাপক অলোক বসুর পরলোক গমন
- আপডেট: ১১:৪১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৬৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক: যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরার কৃতি সন্তান, যশোর সরকারি সিটি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ যশোর-এর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক শ্রী অলোক বসু আর নেই।
হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে তিনি সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিকেল বেলা হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাঁকে দ্রুত যশোরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, তাঁর হার্টের আর্টারিতে ৮০ শতাংশ ব্লক পাওয়া যায়। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
অধ্যাপক অলোক বসু দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে সরকারি এম এম কলেজে কর্মরত থাকার পর যশোর সরকারি সিটি কলেজে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি সমাজসেবা, সংগঠন ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের প্রিয় এই মানুষটি ছিলেন পরোপকারী, নিবেদিত প্রাণ ও জ্ঞানপিপাসু।
তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। হাসপাতাল থেকে মরদেহ গ্রামের বাড়ি বাঘারপাড়া উপজেলার দাদপুর গ্রামে নেওয়ার পথে প্রথমে খাজুরা বৈদিক মন্দির কালীবাড়ি প্রাঙ্গণে আনা হয়। সেখানে এক নজর প্রিয় মানুষটিকে দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় করেন। শিক্ষার্থী, সহকর্মী শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মন্দির চত্বরে ভিড় জমিয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
মন্দির কমিটির সদস্য সচিব নারায়ণ চন্দ্র অধিকারী বলেন, “অলোক বসু ধর্মীয় জ্ঞানসম্পন্ন একজন সৎ ও মহান মানুষ ছিলেন। তিনি বিগত বিশ বছরেরও অধিক সময় ধরে খাজুরা মন্দির কমিটির উপদেষ্টা, জয়েন্ট সেক্রেটারি ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁকে হারিয়ে আমরা হতবিহ্বল।
এসময় বন্ধবিলা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন ভুট্টোসহ এলাকার অসংখ্য মানুষ উপস্থিত থেকে তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অধ্যাপক অলোক বসু জীবদ্দশায় স্ত্রী, দুই পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে যশোরসহ সারাদেশে শিক্ষা অঙ্গনে গভীর শোক নেমে এসেছে।
যশোর সরকারি সিটি কলেজের সহকর্মী অধ্যাপক জিল্লুল বারী বলেন, “অধ্যাপক অলোক বসুর মৃত্যু আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি ছিলেন শিক্ষার্থীবান্ধব ও অসাধারণ মানুষ। তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি ও চিরকল্যাণ কামনা করছি।
শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা, সহকর্মীদের শ্রদ্ধা ও সমাজের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসায় ভাস্বর অধ্যাপক অলোক বসুর আকস্মিক প্রয়াণে খাজুরা হারালো তার এক মহৎ কৃতি সন্তানকে।






















