১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

শালিখায় প্রতিমায় শেষ আচড়ে ব্যস্ত শিল্পীরা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৭:৫০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৭৬

স্বপন বিশ্বাস,শালিখা (মাগুরা)ঃ বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর উৎসবকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।

পূজা শুরুর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মা দুর্গাকে পরিপূর্ণ রূপে মন্দিরে তুলতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা।

ইতোমধ্যেই প্রতিমা তৈরির কাঠামোর মাটির কাজ শেষ করে শুরু করেছে রং ও সাজসজ্জার কাজ। উপজেলা কেন্দ্রীয় মন্দির সরেজমিনে দেখা যায়, দেবী দুর্গা ও তার বাহন সিংহের প্রতিমাসহ তৈরি করা হয়েছে মহিষাসুরের প্রতিমা।

এছাড়াও দেবী লক্ষ্মী, সরস্বতী, দেব কার্তিক, গণেশ ও তাদের বাহন ইঁদুর, হাঁস ও ময়ূর, লক্ষীপেঁচা, সবার উপরে রেখেছে মহাদেবের প্রতিমা। সর্বক্ষণ এ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।

উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের অনিমেষ মন্ডল জানান, গত কয়েক মাস ধরে তারা দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। তিনি এবার পাঁচটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করছেন। তিনি বলেন, শুধু জীবিকা নির্বাহর জন্য এ কাজ করছেন না, দেবী দুর্গার মূর্তি তৈরিতে রয়েছে শিল্প-সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুভূতি, ভক্তি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।

দুর্গা উৎসব উপলক্ষে প্রতি বছর চার থেকে পাঁচটি প্রতিমা তৈরি করেন তিনি। এবার রং ও সাজসজ্জার দাম বৃদ্ধির কারণে পূজা মন্দিরের সংখ্যা কম হলেও তিনি উপজেলার আড়পাড়া, চুকিনগর, হরিশপুর, পাশ্ববর্তী কালিগঞ্জ উপজেলার রায়পুর, ইসাখালীসহ পাচঁটি পূজা মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর কাজ করছেন বলে জানান।

শালিখা উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সাব কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, আগামী ২৮সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ।

এবার দুর্গা উৎসবকে ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনার কোনো কমতি নেই। গত বছরের তুলনায় এবার মন্দিরের সংখ্যা বেশি তাই উৎসবের আমেজ একটু বেশিই থাকবে, প্রতিটা পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা, আলোকসজ্জা, পূজা কমিটিসহ আইনস-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে।

এবার শালিখা উপজেলা ৭টি ইউনিয়নের, ধনেশ্বরগাতী ২৪টি, তালখড়ি ২০টি, আড়পাড়া ১৯টি, শতখালী ১০টি, শালিখা ১০টি, বুনাগাতী ৩৮টি, গঙ্গারামপুর ১১টিসহ মোট ১৩৪টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়ে ২ অক্টোবর দশমী পূজান্তে বিসর্জনের মধ্য শারদীয় দূর্গা উৎসবের সমাপ্তি হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

শালিখায় প্রতিমায় শেষ আচড়ে ব্যস্ত শিল্পীরা

আপডেট: ০৭:৫০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্বপন বিশ্বাস,শালিখা (মাগুরা)ঃ বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর উৎসবকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।

পূজা শুরুর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মা দুর্গাকে পরিপূর্ণ রূপে মন্দিরে তুলতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা।

ইতোমধ্যেই প্রতিমা তৈরির কাঠামোর মাটির কাজ শেষ করে শুরু করেছে রং ও সাজসজ্জার কাজ। উপজেলা কেন্দ্রীয় মন্দির সরেজমিনে দেখা যায়, দেবী দুর্গা ও তার বাহন সিংহের প্রতিমাসহ তৈরি করা হয়েছে মহিষাসুরের প্রতিমা।

এছাড়াও দেবী লক্ষ্মী, সরস্বতী, দেব কার্তিক, গণেশ ও তাদের বাহন ইঁদুর, হাঁস ও ময়ূর, লক্ষীপেঁচা, সবার উপরে রেখেছে মহাদেবের প্রতিমা। সর্বক্ষণ এ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।

উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের অনিমেষ মন্ডল জানান, গত কয়েক মাস ধরে তারা দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। তিনি এবার পাঁচটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করছেন। তিনি বলেন, শুধু জীবিকা নির্বাহর জন্য এ কাজ করছেন না, দেবী দুর্গার মূর্তি তৈরিতে রয়েছে শিল্প-সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুভূতি, ভক্তি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।

দুর্গা উৎসব উপলক্ষে প্রতি বছর চার থেকে পাঁচটি প্রতিমা তৈরি করেন তিনি। এবার রং ও সাজসজ্জার দাম বৃদ্ধির কারণে পূজা মন্দিরের সংখ্যা কম হলেও তিনি উপজেলার আড়পাড়া, চুকিনগর, হরিশপুর, পাশ্ববর্তী কালিগঞ্জ উপজেলার রায়পুর, ইসাখালীসহ পাচঁটি পূজা মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর কাজ করছেন বলে জানান।

শালিখা উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সাব কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, আগামী ২৮সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ।

এবার দুর্গা উৎসবকে ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনার কোনো কমতি নেই। গত বছরের তুলনায় এবার মন্দিরের সংখ্যা বেশি তাই উৎসবের আমেজ একটু বেশিই থাকবে, প্রতিটা পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা, আলোকসজ্জা, পূজা কমিটিসহ আইনস-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে।

এবার শালিখা উপজেলা ৭টি ইউনিয়নের, ধনেশ্বরগাতী ২৪টি, তালখড়ি ২০টি, আড়পাড়া ১৯টি, শতখালী ১০টি, শালিখা ১০টি, বুনাগাতী ৩৮টি, গঙ্গারামপুর ১১টিসহ মোট ১৩৪টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়ে ২ অক্টোবর দশমী পূজান্তে বিসর্জনের মধ্য শারদীয় দূর্গা উৎসবের সমাপ্তি হবে।