নিজস্ব প্রতিবেদক: শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির প্রথম চালানে ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাতে সাতটি ট্রাকে করে বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে এই রূপালী সম্পদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দর পরিচালক মো. শামীম হোসেন।

বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা যায়, কলকাতার পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান—ন্যশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আর জে ইন্টারন্যাশনাল—বাংলাদেশ থেকে এই ইলিশ আমদানি করেছে।

প্রথম চালানে ইলিশ রপ্তানি করেছে দেশের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান: সততা ফিশ ৩.৬ মেট্রিক টন, তানিশা এন্টারপ্রাইজ ১.৪ মেট্রিক টন, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ ১২.২ মেট্রিক টন, লাকী ট্রেডিং ১৬.৮ মেট্রিক টন এবং স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ ৪ মেট্রিক টন।

স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি সাইফুর রহমান বলেন, ‘আজ আমাদের ৪ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। ভারতীয় বাজারে পদ্মার ইলিশের কদর যেমন আছে, তেমনি চাহিদাও অনেক। আমরা চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে মাছগুলো পাঠাতে।’

প্রসঙ্গত, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ভারতের জন্য মোট ১,২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ৩৭টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ৫০ টন, ২৫টি প্রতিষ্ঠান ৩০ টন করে, ৯টি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে এবং দুটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন করে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে।

বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টাইন অফিসার সজীব সাহা জানান, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে এই রপ্তানি সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত হয়েছে প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১২.৫ মার্কিন ডলার।’

বেনাপোল বন্দর পরিচালক মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘আজকের ইলিশ রপ্তানি বাংলাদেশের মৎস্য খাতের জন্য বড় সাফল্য। এই রপ্তানি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ করবে।’