নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২দলীয় জোট।

রবিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘যে মুহূর্তে দেশবাসীর অনাস্থা ও সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে সরকারের ভিত কেঁপে যাচ্ছে সেই সময়ে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে জনগণের এই আন্দোলন দমানো যাবে না। সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তি শেখ হাসিনার বিনাভোটে অবৈধভাবে নির্বাচিত মানবতাবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

তারা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন অনিবার্য। অপকর্মের হোতাদের পালানোর পথ থাকবে না।’

‘সীমাহীন অত্যাচার নির্যাতন ও দমন-পীড়ন’ বন্ধ এর্ব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মুক্তি দেওয়ার জানান নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ১২দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি তাসমিয়া প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সভাপতি ড. সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন প্রমুখ।

রবিবার সকাল ৯টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার গুলশানের বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

উল্লেখ্য, শনিবার সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে একজন যুবদল কর্মী ও একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। এ ঘটনায় রবিবার সারা দেশে হরতাল ডাকে বিএনপি ও পুলিশ।