আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি বিচার আদালত। শনিবার আদালত রায় দেওয়ার পরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যানকে।

বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার ঘোষণা করেছেন, বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির দায়ে ইমরান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

সত্তর বছর বয়সী ক্রিকেটার-রাজনীতিক ইমরান খান ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তার প্রধানমন্ত্রীত্বের ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় দখলে থাকা উপহার কেনা-বেচা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তোশাখানা মামলায় শুনানির সময় শনিবার আদালতে ছিলেন না ইমরান খান। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে লাহোরের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা লাকবতের হাই সিকিউরিটি কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরানের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা করা হয়েছে। ইমরান খান বরাবরই তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো অস্বীকার করে আসছেন। অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি করে আসছেন পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানে নভেম্বরের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা অনেকটাই শেষ হয়ে গেছে ইমরান খানের। অন্যদিকে এক বিবৃতিতে পিটিআই বলেছে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে।