১১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক ইয়াবাসহ আটক

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৭:২৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / ১০২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সংগঠকসহ দুজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে চারটি ইয়াবা জব্দ করা হয়।

আজ রোববার দুপুরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শহরের খানপুরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ অভিযান চালানো হয়। আটক দুজন হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক মো. জিদান ও হাসপাতালের দালাল ইকবাল হোসেন। এ ঘটনায় জিদানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, জিদান হাসপাতালের কর্মীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছিলেন। পাশাপাশি তিনি প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে ইয়াবা বিক্রি করতেন। এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এম এ বাশার বলেন, ‘যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক বলে জানতে পেরেছি।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ‘জিদান বাড়িঘরে রং ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ করত। আন্দোলন চলাকালে সে পিঠে ছররা গুলিতে আহত হয়েছিল। এর পর থেকেই সে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে হাসপাতালে দালালি ও স্টাফদের হুমকি-ধমকি দিয়ে সুবিধা আদায় করত। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী জিদান ও ইকবালকে আটক করেছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

যোগাযোগ করা হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক নিরব রায়হান বলেন, ‘জিদান জেলা কমিটির সংগঠক ছিল। তাকে আটকের বিষয়টি জানতে পেরে আমরা প্রশাসনকে বলেছি, তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নিতে। সেইসঙ্গে আমরাও তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক ইয়াবাসহ আটক

আপডেট: ০৭:২৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সংগঠকসহ দুজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে চারটি ইয়াবা জব্দ করা হয়।

আজ রোববার দুপুরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শহরের খানপুরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ অভিযান চালানো হয়। আটক দুজন হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক মো. জিদান ও হাসপাতালের দালাল ইকবাল হোসেন। এ ঘটনায় জিদানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, জিদান হাসপাতালের কর্মীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছিলেন। পাশাপাশি তিনি প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে ইয়াবা বিক্রি করতেন। এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এম এ বাশার বলেন, ‘যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক বলে জানতে পেরেছি।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ‘জিদান বাড়িঘরে রং ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ করত। আন্দোলন চলাকালে সে পিঠে ছররা গুলিতে আহত হয়েছিল। এর পর থেকেই সে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে হাসপাতালে দালালি ও স্টাফদের হুমকি-ধমকি দিয়ে সুবিধা আদায় করত। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী জিদান ও ইকবালকে আটক করেছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

যোগাযোগ করা হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক নিরব রায়হান বলেন, ‘জিদান জেলা কমিটির সংগঠক ছিল। তাকে আটকের বিষয়টি জানতে পেরে আমরা প্রশাসনকে বলেছি, তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নিতে। সেইসঙ্গে আমরাও তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছি।’