সাঈদ ইবনে হানিফ} : মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য। তাই , সকল ধরনের অপরাজনীতি , ধর্মীয় বিভাজন ভুলে প্রতিটি ব্যাক্তিই মানুষ এবং সু-নাগরিক হিসাবে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করার সুযোগ রয়েছে । কিন্তু বেশিরভাগ সময় ধর্মীয় গোঁড়ামি , উশৃঙ্খল আচরণ, অপরাজনীতি , সামনে এনে মানুষকে হিংসা ও বিদ্যেষপূর্ন আচরনের মাধ্যমে আহত করে , যার বাস্তব চিত্র গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিলক্ষিত হয় ।এর কোন ব্যতয় ছিল না যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলাতে ও । তবে তা ব্যাপক আকারে নয় , যতটুকু হয়েছে তা নিতান্তই রাজনৈতিক কারণে এবং ব্যক্তিগত আক্রোশ , ধর্মীয় বা সংখ্যা গত কোন প্রতিহিংসার শিকার হয়নি বলে জানিয়েছেন, খোদ মন্দির, ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বিজ্ঞজন । এমন সব পরিস্থিতিতে, রাজনৈতিক , ধর্মীয় , জাতিগত, এবং সংখ্যা গত সহিংসতা প্রতিরোধে বাঘারপাড়ায় হাঙ্গার, প্রজেক্টের এম, আই পিএস প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত (পিএফজি) কমিটির সদস্যদের ভূমিকা ছিল প্রশংসানীয় । যার ধারাবাহিকতায়, পিএফজি ও সুজানের পক্ষ থেকে গত
১৪ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে বাঘারপাড়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিশেষ করে সহিংসতা প্রবন এলাকাতে উপাসনালয় পরিদর্শন ও মতবিনিময় বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালিত হয় । সেই সাথে বাঘারপাড়ার বীর প্রতীক ইসহাক মহাবিদ্যালয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার বিষয়ে সনাতন ধর্মের শিক্ষকদের সাথে ও মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়।

এই কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেন , বাঘারপাড়া পিএফজি এর কোঅর্ডিনেটর জনাব ইকরামুল কবির মিঠু, পিস এ্যাম্বাসেডর অধ্যক্ষ জনাব মো: মোস্তাক মোর্শেদ, দিলরুবা পারভিন, মো: হাফিজুর রহমান, মো: জাকির হোসেন, অজয় বিশ্বাস, আদিবাসি সভাপতি প্রহল্লাদ বিশ্বাস, সাংবাদিক সাঈদ ইবনে হানিফ, ইউপি মেম্বার আমেনা খাতুন এবং ওয়াইপিএজির মোস্তফা আমির ফয়সাল সহ বেশ কয়েকজন । সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন এমআইপিএস প্রকল্পের ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর জনাব মো: আশরাফুজ্জামান।

এসময় , ধর্মীয় উপাসনালয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরাও মানুষ আমরা বাংলাদেশের নাগরিক তবে কেন এমন ক্রান্তিলগ্নে আমরা হামলা নির্যাতনের স্বীকার হবো? এমন ভীতিকর পরিস্থিতিতে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপির রাজনৈতিক দলের নেতারা অভয় দিয়ে তাদের সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছেন বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভায়, পিএফজি ও সুজানের প্রতিনিধিগণ বলেন, একটি স্বাধীন দেশে সকলের স্বাধীনভাবে বসবাস করার নাগরিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও নৃগোষ্ঠিগত সহিংসতা যেন না ঘটে আমাদের কে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে । বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের মন্দির, ঘরবাড়ি হামলা ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি একটা জাতি বা সমাজের জন্য খুবই দৃষ্টি কটুর দিক বলে গন্য হয় যা একটা সুস্থ সমাজে কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। তাই প্রতিনিধি হিসাবে আপনাদের পাশে থেকে আমরা চেষ্টা করেছি সহিংসতা নিরসনের জন্য । যেকোন পরিস্থিতিতে পিএফজি এবং এই উপজেলায় দায়িত্ব প্রাপ্ত সুজানের প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয় ।