০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

বেনাপোল চেকপোস্টে দুর্ধর্ষ চুরি: ৪৮ ঘন্টার ভিতরে, সাতার কেটে চোর ধরলেন ওসি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৯:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৬৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেনাপোল চেকপোস্টের সাদীপুর রোডে অবস্থিত একটি ফ্ল্যাক্সি লোডের দোকানে সংঘটিত দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত মো. সাজু (২৮)কে গ্রেপ্তার করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। শার্শার একটি মাছের ঘের থেকে শনিবার রাত ৩টার দিকে তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত সাজু শার্শা উপজেলার রামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম মমতাজ রহমান।

পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাসেল মিয়া জানান, “গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চেকপোস্ট এলাকার আক্তার হোসেনের দোকানে চুরি হয়। চোরেরা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনসেট নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজিজুল হক এবং দোকান মালিক বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা তদন্তে নেমে পড়ি।”

পুলিশ জানায়, সিসিটিভির ফুটেজ ও চুরি যাওয়া মোবাইলের ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চোরের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর শনিবার গভীর রাতে শার্শার একটি মাঠের মধ্যে অবস্থিত একটি মাছের ঘেরে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় তিনজন ব্যক্তি দৌড়ে পানিতে নেমে পড়ে। ওসি রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সও পানিতে নামলে সাতার কেটে সাজুকে আটক করা সম্ভব হয়।

গ্রেপ্তারকৃত সাজুকে সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায় দোকান থেকে টাকা নিতে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, চুরি করা টাকা সে রুবেল নামে একজন সহযোগীর কাছে দিয়েছে। রুবেল বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
পুলিশ বলছে, “রুবেলকে আটক করতে পারলে পুরো টাকার সন্ধান পাওয়া যাবে।”

এছাড়া সাজুর দেখানো মতে চুরির সময় ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি, রড, রেঞ্জ, চাকু ও দেশীয় সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

বেনাপোল চেকপোস্টে দুর্ধর্ষ চুরি: ৪৮ ঘন্টার ভিতরে, সাতার কেটে চোর ধরলেন ওসি

আপডেট: ০৯:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেনাপোল চেকপোস্টের সাদীপুর রোডে অবস্থিত একটি ফ্ল্যাক্সি লোডের দোকানে সংঘটিত দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত মো. সাজু (২৮)কে গ্রেপ্তার করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। শার্শার একটি মাছের ঘের থেকে শনিবার রাত ৩টার দিকে তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত সাজু শার্শা উপজেলার রামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম মমতাজ রহমান।

পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাসেল মিয়া জানান, “গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চেকপোস্ট এলাকার আক্তার হোসেনের দোকানে চুরি হয়। চোরেরা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনসেট নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজিজুল হক এবং দোকান মালিক বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা তদন্তে নেমে পড়ি।”

পুলিশ জানায়, সিসিটিভির ফুটেজ ও চুরি যাওয়া মোবাইলের ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চোরের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর শনিবার গভীর রাতে শার্শার একটি মাঠের মধ্যে অবস্থিত একটি মাছের ঘেরে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় তিনজন ব্যক্তি দৌড়ে পানিতে নেমে পড়ে। ওসি রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সও পানিতে নামলে সাতার কেটে সাজুকে আটক করা সম্ভব হয়।

গ্রেপ্তারকৃত সাজুকে সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায় দোকান থেকে টাকা নিতে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, চুরি করা টাকা সে রুবেল নামে একজন সহযোগীর কাছে দিয়েছে। রুবেল বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
পুলিশ বলছে, “রুবেলকে আটক করতে পারলে পুরো টাকার সন্ধান পাওয়া যাবে।”

এছাড়া সাজুর দেখানো মতে চুরির সময় ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি, রড, রেঞ্জ, চাকু ও দেশীয় সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।