আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের ঝিকরগাছায় সাপের কামড়ে কামরুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ফুলচাষির মৃত্যু হয়েছে। তিনি গদখালি পটুয়াপাড়া গ্রামের মৃত সোলায়মান মোড়লের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার (৯আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের পটুয়াপাড়া গ্রামের মাঠে রজনীগন্ধা ফুলক্ষেতে কামরুল ইসলাম সার প্রয়োগ করছিলেন। সার প্রয়োগের সময় ওই ফুলক্ষেতে থাকা একটি বিষধর সাপ তার ডান পায়ের হাটুর নিচে কামড় দেয়। সাথে সাথে তার ছোটভাই পল্লী চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম কামরুল ইসলামকে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মেহেদী হাসান সজিব তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখে। এর কিছুসময় পর কামরুল ইসলাম মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করে। সুস্থ কামরুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনরা ফুঁসে উঠে এবং হাসপাতালে হামলা করে। এসময় তারা জরুরী বিভাগের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর সহ ওই চিকিৎসকের উপর হামলার চেষ্টা করে। পরে ওই চিকিৎসক কৌশলে পালিয়ে যায়।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কামরুল ইসলামের ভাইপো হৃদয় জানান, ডাক্তার আমার চাচার রক্ত পরীক্ষা করে বলেন যে উনার শরীরে তেমন বিষের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ভর্তি রাখেন, সুস্থ হয়ে যাবে। এরপর বেডে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার আর নার্স এসে চাচাকে ২টা ইনজেকশন দেয়। ইনজেকশন দেবার পরপরই চাচা ছটফট করতে থাকে এবং আমার বুকের উপরেই মারা যায়। তিনি মারা গেছে এই কথাটা ডাক্তার আমাদের বলেনি এবং সারা হাসপাতাল খুঁজেও তাকে আমরা আর পাইনি। পরে পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয়ে যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না দেয়ায় পুলিশ লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) সকাল ১০ টায় নিহতের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রশিদুল আলম জানান, সাপে কাটা রুগী আসলে তার রক্ত টেস্ট করার পর চিকিৎসা দেয়া হয়। রক্ত টেস্ট শেষ হওয়ার আগেই কামরুল ইসলাম মারা গেছেন।

ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত বলেন, সাপে কাটা রোগীর মৃত্যুতে একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড হয়েছে। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় পোস্টমর্টেম করা হয়নি।