সাঈদ ইবনে হানিফ : বাঘারপাড়া (যশোর) : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় মাইকিং করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রামের কমপক্ষে ১২ জন গুরুতর আহত হয়েছে ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে জড়িয়ে দুই পক্ষই বিএনপি সমর্থীত বলে জানা গেছে। এঘটনায় আহতদের বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংহর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।

জানা গেছে ২৯ আগস্ট (বৃহস্পতিবার ) সকালে উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের পুনিয়ার বটতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পুনিহার ও শ্রীরামপুর গ্রামের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুইগ্রামের লোকজন পুনিয়ার বটতলায় জড় হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকদের জানান, পুনিহার গ্রামের শরিফুলের সাথে শ্রীরামপুর গ্রামের হাবিবুরের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিলো। এ ঘটনার জেরে বুধবার সকালে (২৮ আগষ্ট) পুনিহার গ্রামের শরিফুল ও তার ভাইয়েরা মিলে হাবিবুরের উপর হামলা করে। একই দিন শ্রীরামপুর গ্রামের কবিরের নেতৃত্বে শরিফুলের ভাই হাতেমকে মারপিট করে।

এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দুই গ্রামের মসজিদ থেকে মাইকিং করে দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় আহত হন, শ্রীরামপুর গ্রামের কেরামত মোল্লা (৫৫), মাজেদ (৭০), রুবেল (৪০), লুৎফর রহমান (৭০), হাফিজুর রহমান (৪৪), ফসিয়ার রহমান (৪০), রানা (২৬), হুমায়ুন কবির (৩৫), আনিচুর রহমান (৪০) ও রমজান আলী (২০)। পুনিহার গ্রামের সিদ্দিক (৫৫) ও হাতেম আলি (৫৬)।

বাঘারপাড়া থানার ওসি রোকিবুজ্জামান জানিয়েছেন ,‘ সংঘর্ষের সংবাদ জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করেনি। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংশার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে ।

এবিষয়ে, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামছুর রহমান জানিয়েছেন‘ শুক্রবার ৩০ আগস্ট বিকেলে উভয় গ্রামের বিজ্ঞজনদের নিয়ে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বসে বিষয়টি মিমাংশা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।