০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় ২ দিনে ‘মদ পানে’ ৬ জনের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ১০:৫০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৭৭

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদ পানে গত দুইদিনে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রবিবার (১২ অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান এ তথ্য জানান।

মারা যাওয়ারা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র গ্রামের লাল্টু (৪৫), শংকর চন্দ্র মাঝের পাড়ার শহীদ মোল্লা (৫০), শঙ্করচন্দ্র টাওয়ার পাড়ার ছমির উদ্দীন (৫৫), খাজুরা গ্রামের সেলিম (৩৮), পিরোজখালি পূর্ব পাড়ার লালটু (৩৮) এবং নফরকান্দী গ্রামের খেদের আলী (৫৫)। তারা সবাই পেশায় দিনমজুর ও লেবারের কাজ করতেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম বলেন, “রবিবার বিকেল ৫টার দিকে পরিবারের সদস্যরা লাল্টু মিয়া (৪৫) ছমির (৫৫) এং আলিমকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তারা জানান, অসুস্থরা দুই দিন আগে স্পিরিট পান করেছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ভর্তি রাখা হয়। রাত ৮টার দিকে লাল্টু ও রাত ২ টার দিকে ছমিরের (৫৫) মৃত্যু হয়। আলিম উদ্দীন নামে একজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তার অবস্থা তুলনামূলক ভালো।”

ওসি খালেদুর রহমান জানান, গত ১০ অক্টোবর ১০-১২ জন ব্যক্তি ডিঙ্গেহ এলাকার গোপন স্থানে বিষাক্ত মদ পান করেন। গত ১১ অক্টোবর চার জনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার রাতে তিন জন অসুস্থ হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলে চিকিৎসা নিতে যান। তাদের মধ্যে দুই জন মারা গেছেন। একজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি আরো জানান, পুলিশ মাঠ কাজ করছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।মারা যাওয়াদের মধ্যে চার জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। দুইজনের মরদেহ ময়মাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

চুয়াডাঙ্গায় ২ দিনে ‘মদ পানে’ ৬ জনের মৃত্যু

আপডেট: ১০:৫০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদ পানে গত দুইদিনে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রবিবার (১২ অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান এ তথ্য জানান।

মারা যাওয়ারা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র গ্রামের লাল্টু (৪৫), শংকর চন্দ্র মাঝের পাড়ার শহীদ মোল্লা (৫০), শঙ্করচন্দ্র টাওয়ার পাড়ার ছমির উদ্দীন (৫৫), খাজুরা গ্রামের সেলিম (৩৮), পিরোজখালি পূর্ব পাড়ার লালটু (৩৮) এবং নফরকান্দী গ্রামের খেদের আলী (৫৫)। তারা সবাই পেশায় দিনমজুর ও লেবারের কাজ করতেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম বলেন, “রবিবার বিকেল ৫টার দিকে পরিবারের সদস্যরা লাল্টু মিয়া (৪৫) ছমির (৫৫) এং আলিমকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তারা জানান, অসুস্থরা দুই দিন আগে স্পিরিট পান করেছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ভর্তি রাখা হয়। রাত ৮টার দিকে লাল্টু ও রাত ২ টার দিকে ছমিরের (৫৫) মৃত্যু হয়। আলিম উদ্দীন নামে একজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তার অবস্থা তুলনামূলক ভালো।”

ওসি খালেদুর রহমান জানান, গত ১০ অক্টোবর ১০-১২ জন ব্যক্তি ডিঙ্গেহ এলাকার গোপন স্থানে বিষাক্ত মদ পান করেন। গত ১১ অক্টোবর চার জনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার রাতে তিন জন অসুস্থ হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলে চিকিৎসা নিতে যান। তাদের মধ্যে দুই জন মারা গেছেন। একজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি আরো জানান, পুলিশ মাঠ কাজ করছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।মারা যাওয়াদের মধ্যে চার জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। দুইজনের মরদেহ ময়মাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।