০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

যশোরে পুলিশ পরিচয়ে স্বর্ণ ডাকাতি: ঢাকায় গ্রেফতার ৪, উদ্ধার হ্যান্ডকাপ-ওয়াকি-টকি ও লুটের স্বর্ণ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ১১:২১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে পুলিশ পরিচয়ে সংঘটিত আলোচিত স্বর্ণ ডাকাতি মামলায় চারজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ডকাপ, ওয়াকি-টকি, স্কচটেপ ও একটি প্রাইভেটকারসহ লুট হওয়া সোনার কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুরুল হক ভূঁঞা জানান, গত ১৪ জুলাই সকালে যশোর শহরের রাজারহাট রেলক্রসিং এলাকায় একটি প্রাইভেটকার থামিয়ে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেয় কয়েকজন দুর্বৃত্ত। তারা সুধীর কুমার দাসের শ্যালক আনন্দ বসু ও কর্মচারী রাসেল গাজীকে চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর তাদের কাছ থেকে ১৯ভরি ৮আনা স্বর্ণালংকার, নগদ ২৬ হাজার টাকা ও চারটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। পরে ভুক্তভোগীদের মনিরামপুর উপজেলার ট্যাংরাখালী এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

ঘটনার পর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হলে তদন্তে নামে পুলিশ। প্রযুক্তি ও গোপন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে আসামিদের শনাক্ত করা হয়।

এরপর ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার তাঁতীবাজার হাজী মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় দুই আসামি— মো. উজ্জল হোসেন ও মো. নিশান হোসেনকে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উদ্ধার করা হয় ৫ ভরি ১১ আনা গলানো স্বর্ণালংকার, যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ লাখ ১ হাজার টাকা।

পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতেই যশোর শহরের চাঁচড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও দুই সহযোগী রতন শেখ ও মুসাব্বির হোসেন টুটুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি সাদা প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-খ-১১-৮০৫৭), একটি জোড়া স্টিলের হ্যান্ডকাপ, দুইটি ওয়াকি-টকি (BAOFENG লেখা), এবং দুইটি কসটেপ।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আসামি মো. নিশান হোসনের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, অস্ত্র ও ধর্ষণসহ ১৮টি মামলা রয়েছে। অপর আসামি মো. উজ্জল হোসনের বিরুদ্ধেও রয়েছে চারটি মামলা। তারা দুজনই এলাকায় চিহ্নিত ডাকাত ও সন্ত্রাসী।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো—যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা পাড়ার মো. নিশান হোসেন (২৫), শার্শা থানার গোগা গ্রামের (গাজীপাড়া) মো. উজ্জ্বল হোসেন (২৯), যশোর শহরের খড়কি বামনপাড়ার রতন শেখ (৪৫), যশোর সদর থানার পুলেরহাট তফসি ডাঙ্গার মুসাব্বির হোসেন টুটুল (২১)।

আটককৃত সকলে যশোর জেলার বাসিন্দা।

ডিবি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুরুল হক ভূঁঞা আরও বলেন, “গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।”

Please Share This Post in Your Social Media

যশোরে পুলিশ পরিচয়ে স্বর্ণ ডাকাতি: ঢাকায় গ্রেফতার ৪, উদ্ধার হ্যান্ডকাপ-ওয়াকি-টকি ও লুটের স্বর্ণ

আপডেট: ১১:২১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে পুলিশ পরিচয়ে সংঘটিত আলোচিত স্বর্ণ ডাকাতি মামলায় চারজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ডকাপ, ওয়াকি-টকি, স্কচটেপ ও একটি প্রাইভেটকারসহ লুট হওয়া সোনার কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুরুল হক ভূঁঞা জানান, গত ১৪ জুলাই সকালে যশোর শহরের রাজারহাট রেলক্রসিং এলাকায় একটি প্রাইভেটকার থামিয়ে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেয় কয়েকজন দুর্বৃত্ত। তারা সুধীর কুমার দাসের শ্যালক আনন্দ বসু ও কর্মচারী রাসেল গাজীকে চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর তাদের কাছ থেকে ১৯ভরি ৮আনা স্বর্ণালংকার, নগদ ২৬ হাজার টাকা ও চারটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। পরে ভুক্তভোগীদের মনিরামপুর উপজেলার ট্যাংরাখালী এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

ঘটনার পর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হলে তদন্তে নামে পুলিশ। প্রযুক্তি ও গোপন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে আসামিদের শনাক্ত করা হয়।

এরপর ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার তাঁতীবাজার হাজী মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় দুই আসামি— মো. উজ্জল হোসেন ও মো. নিশান হোসেনকে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উদ্ধার করা হয় ৫ ভরি ১১ আনা গলানো স্বর্ণালংকার, যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ লাখ ১ হাজার টাকা।

পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতেই যশোর শহরের চাঁচড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও দুই সহযোগী রতন শেখ ও মুসাব্বির হোসেন টুটুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি সাদা প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-খ-১১-৮০৫৭), একটি জোড়া স্টিলের হ্যান্ডকাপ, দুইটি ওয়াকি-টকি (BAOFENG লেখা), এবং দুইটি কসটেপ।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আসামি মো. নিশান হোসনের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, অস্ত্র ও ধর্ষণসহ ১৮টি মামলা রয়েছে। অপর আসামি মো. উজ্জল হোসনের বিরুদ্ধেও রয়েছে চারটি মামলা। তারা দুজনই এলাকায় চিহ্নিত ডাকাত ও সন্ত্রাসী।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো—যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা পাড়ার মো. নিশান হোসেন (২৫), শার্শা থানার গোগা গ্রামের (গাজীপাড়া) মো. উজ্জ্বল হোসেন (২৯), যশোর শহরের খড়কি বামনপাড়ার রতন শেখ (৪৫), যশোর সদর থানার পুলেরহাট তফসি ডাঙ্গার মুসাব্বির হোসেন টুটুল (২১)।

আটককৃত সকলে যশোর জেলার বাসিন্দা।

ডিবি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুরুল হক ভূঁঞা আরও বলেন, “গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।”