০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

যশোরের বসুন্দিয়ায় ৫শ, ৫৪ বছরের পুরনো (রূপ-সনাতন) ধাম : পাইনি সরকারি কোন সুবিধা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৮:০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৯৭

সাঈদ ইবনে হানিফ: ‎যশোরের বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহাসিক রূপ-সনাতন ধাম।

জানা গেছে, ৫শ, ৫৪ বছর ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আধ্যাত্মিক সাধনার কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বের সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে পরিচিত হলেও আজও সরকারি কোনো অনুদান বা উন্নয়ন সহায়তা পায়নি।

‎স্বড় গোস্বমীর প্রধান দুই মহাপুরুষ রূপ ও সনাতন গোস্বামী সাধনার জন্য এ ধাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দীর্ঘ শতাব্দী ধরে এখানে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও সাধনা চলে আসছে। প্রতিবছর হাজারো ভক্ত-দর্শনার্থী এই ধামে আসে পূজা-অর্চনা ও প্রার্থনা করেন।

‎ধামের প্রধান সেবায়েত তাপস বাবাজী জানান, রূপ-সনাতন ধামটি ৫৫৪ বছর পুরাতন হলেও প্রায় ৩০বছর পরে ভক্তদের কৃপায় এখানে একটি নাটমন্দির নির্মিত হয়। এরপর থেকে কোনো বড় ধরনের উন্নয়ন হয়নি। ভক্তদের ভক্তি-আচারে প্রাণবন্ত হলেও অবকাঠামোগত সংকটে ধামটি দিন দিন ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে।

‎স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন কুন্ডু জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়ক থেকে ধামে প্রবেশের একমাত্র রাস্তাটি জলমগ্ন হয়ে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ফলে দর্শনার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এছাড়া পর্যাপ্ত ঘর, বিশ্রামাগার, গোসলখানা ও শৌচাগার না থাকায় ভক্তদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ভক্তদের অনুদানে একটি নাটমন্দির ও সাধুদের একটি থাকার ঘর নির্মাণ করা হলেও এখানে এখন পর্যন্ত সরকারী কোন অনুদান পাওয়া যায়নি।

‎স্থানীয়রা জানান প্রতিবছর দেশ-বিদেশ থেকে এখানে হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন। তাদের দাবি, সরকারের বিশেষ উদ্যোগ ছাড়া এই প্রাচীন ধর্মীয় ঐতিহ্য টিকে থাকা কঠিন। ধামটির সংরক্ষণ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং দর্শনার্থীদের জন্য মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি পদক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

যশোরের বসুন্দিয়ায় ৫শ, ৫৪ বছরের পুরনো (রূপ-সনাতন) ধাম : পাইনি সরকারি কোন সুবিধা

আপডেট: ০৮:০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাঈদ ইবনে হানিফ: ‎যশোরের বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহাসিক রূপ-সনাতন ধাম।

জানা গেছে, ৫শ, ৫৪ বছর ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আধ্যাত্মিক সাধনার কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বের সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে পরিচিত হলেও আজও সরকারি কোনো অনুদান বা উন্নয়ন সহায়তা পায়নি।

‎স্বড় গোস্বমীর প্রধান দুই মহাপুরুষ রূপ ও সনাতন গোস্বামী সাধনার জন্য এ ধাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দীর্ঘ শতাব্দী ধরে এখানে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও সাধনা চলে আসছে। প্রতিবছর হাজারো ভক্ত-দর্শনার্থী এই ধামে আসে পূজা-অর্চনা ও প্রার্থনা করেন।

‎ধামের প্রধান সেবায়েত তাপস বাবাজী জানান, রূপ-সনাতন ধামটি ৫৫৪ বছর পুরাতন হলেও প্রায় ৩০বছর পরে ভক্তদের কৃপায় এখানে একটি নাটমন্দির নির্মিত হয়। এরপর থেকে কোনো বড় ধরনের উন্নয়ন হয়নি। ভক্তদের ভক্তি-আচারে প্রাণবন্ত হলেও অবকাঠামোগত সংকটে ধামটি দিন দিন ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে।

‎স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন কুন্ডু জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়ক থেকে ধামে প্রবেশের একমাত্র রাস্তাটি জলমগ্ন হয়ে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ফলে দর্শনার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এছাড়া পর্যাপ্ত ঘর, বিশ্রামাগার, গোসলখানা ও শৌচাগার না থাকায় ভক্তদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ভক্তদের অনুদানে একটি নাটমন্দির ও সাধুদের একটি থাকার ঘর নির্মাণ করা হলেও এখানে এখন পর্যন্ত সরকারী কোন অনুদান পাওয়া যায়নি।

‎স্থানীয়রা জানান প্রতিবছর দেশ-বিদেশ থেকে এখানে হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন। তাদের দাবি, সরকারের বিশেষ উদ্যোগ ছাড়া এই প্রাচীন ধর্মীয় ঐতিহ্য টিকে থাকা কঠিন। ধামটির সংরক্ষণ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং দর্শনার্থীদের জন্য মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি পদক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।