আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নরবলি দেওয়ার পর দুই মহিলার মাংস খেয়েছিলেন কেরলের অভিযুক্ত দম্পতি? এমনই সন্দেহ করছে পুলিশ। এই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই মহম্মদ সফি নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দম্পতি ভগবল সিংহ এবং লায়লাকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সফি।
গত জুন মাসে এর্নাকুলাম থেকে টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে প্রথমে রোসেলিনকে অপহরণ করেন সফি। তার পর তাঁকে সিংহ দম্পতির বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে তাঁকে আটকে রাখা হয়। সেপ্টেম্বরে পদ্মা নামে আরও এক মহিলাকে ঠিক একই কায়দায় অপহরণ করেন সফি। তাঁকেও সিংহ দম্পতির বাড়িতে নিয়ে আসেন।
পুলিশ জানতে পেরেছে, রোসেলিন এবং পদ্মাকে পর্নোগ্রাফি করার টোপ দিয়েছিলেন সফি। শুধু তাই নয়, প্রচুর টাকা পয়সারও লোভ দেখানো হয়েছিল দু’জনকে। একই সঙ্গে সিংহ দম্পতিকেও সফি বুঝিয়েছিলেন যে, যদি ধনী হতে চান, তা হলে নরবলি দিতে হবে। আর সেই নরবলির জন্য শিকার ধরে দিতেও প্রস্তুত তিনি। আর তার পরই শুরু হয় শিকার ধরার পালা।
পুলিশ জানিয়েছে, রোসেলিন এবং পদ্মার হাত-পা বাঁধা হয়। তার পর তাঁদের গলা টিপে খুন করা হয়। এর পর দু’জনেরই স্তন কেটে ফেলা হয়। শরীর থেকে সমস্ত রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার পর দু’জনের দেহ টুকরো করে কাটা হয়। তাঁদের মধ্যে এক জনের দেহ ৫৬ টুকরো করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, বিত্তশালী হতে সফির কথায় সেই মাংসও খেয়েছিলেন অভিযুক্ত দম্পতি। এমনই সন্দেহ করছে পুলিশ। তার পর দুই মহিলার শরীরের বাকি অংশ তিনটি গর্তে পুঁতে দেন অভিযুক্তরা।
কোচি পুলিশ প্রধান সিএইচ নাগরাজ বলেন, “সন্দেহ করা হচ্ছে, দুই মহিলাকে খুনের পর তাঁদের মাংস খেয়েছিলেন অভিযুক্তরা। তদন্ত যত এগোবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।”
পেশায় এক জন থেরাপিস্ট অভিযুক্ত ভগবল সিংহ। পুলিশ জানতে পেরেছে যে, নিজেদের ভাগ্য বদলানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ভগবৎ এবং তাঁর স্ত্রী লায়লা। আর সেই সুবাদে পরিচয় সফির সঙ্গে। সফিই তখন তাঁদের নরবলি দেওয়ার পরামর্শ দেন।
সুত্র --- আনন্দবাজার পত্রিকা।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.