ঝিকরগাছা প্রতিনিধি : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি বাজারের বেকারী এবং হোটেল মালিকদের কাছে এসিল্যান্ডের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। আর এই কাজে গদখালি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা হাসান রেজা জড়িত বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
গদখালি বাজারের বিশিষ্ট হোটেল ব্যবসায়ী রনি সুইটস এর মালিক রিয়াজ উদ্দিন জানান, গত ৯ অক্টোবর রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে গদখালি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা হাসান রেজা তার দোকানে এসে তাকে খুঁজতে থাকে। এসময় তিনি ব্যবসায়িক কাজে বাইরে থাকায় দোকানের কর্মচারী কামাল হোসেনকে সে বলে, এসিল্যান্ড তোমার সাথে কথা বলবে। এই বলে সে তার নিজের ফোন দিয়ে একজনের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়। অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে এসিল্যান্ড অফিসের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে কামালের কাছ থেকে আমার নম্বর সংগ্রহ করে এবং আমাকে ০১৯২৯-৬৮৬৩৪৫ নং থেকে ফোন দিয়ে বলে, আর কিছুক্ষণের মধ্যে এসিল্যান্ড এবং সেনেটারী ইন্সপেক্টর আপনার দোকান রেট দেবে। আপনি আমাকে ৩০,০০০/= (ত্রিশ হাজার) টাকা দিলে আমি আপনার দোকানে রেট করতে দিবোনা। এত টাকা দিতে পারবোনা বললে ঐ ব্যক্তি আমি কত টাকা দিতে পারবো জানতে চায়। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে উক্ত ব্যক্তি আমাকে বারবার ফোন করে টাকা চাইতে থাকে।
একই ভাবে হাসান রেজা গদখালি বাজারের মায়ের দোয়া মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, রজনীগন্ধা হোটেল এবং তাজ বেকারীতে গিয়ে তার নিজের ফোন দিয়ে ০১৯২৯-৬৮৬৩৪৫ নংএ কথা বলিয়ে দেয় এবং অপরপ্রান্তের ব্যক্তি প্রত্যেকের কাছে পূর্বের একই বক্তব্য পেশ করে টাকা দাবী করে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে উক্ত ব্যবসায়ীগন তখন হাসান রেজার কাছে গিয়ে কেনো টাকা দিতে হবে জানতে চায়। অবস্থা বেগতিক দেখে হাসান রেজা তাদেরকে বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি।
এরপর ব্যবসায়ীরা গদখালি বাজার কমিটির সভাপতি করিম সর্দারকে বিষয়টি অবগত করেন। সেদিনই সন্ধ্যায় করিম সর্দার ব্যবসায়ী সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে ডেকে নিয়ে একটি জরুরি সভার আয়োজন করেন এবং সেখানে হাসান রেজাকে ডেকে তার কাছে বিষয়টি জানতে চান। আলোচনার এক পর্যায়ে হাসান রেজা উত্তেজিত হয়ে করিম সর্দারের সাথে দুর্ব্যবহার করে তাকে অপমানিত করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে করিম সর্দার বলেন, হাসান আমাদের এলাকার ছেলে। ব্যবসায়ীরা তার নামে চাঁদা দাবির অভিযোগ করলে আমি তাকে ডেকে বিষয়টি মিটিয়ে দেবার চেষ্টা করি। কিন্তু সে উল্টো আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। আমি এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণের জন্য ভুক্তভোগীদের বলে দিয়েছি।
ঘটনার বিবরণ জানতে হাসান রেজার সাথে দেখা করলে তিনি বলেন, বেলা একটার দিকে উক্ত নং থেকে আমার কাছে ফোন দিয়ে ঐ ব্যক্তি এসিল্যান্ড পরিচয় দেন এবং আমাকে গদখালি বাজারের বেকারি আর হোটেলের সংখ্যা জানতে চেয়ে তাদের নং দিতে বলেন। আমি তার কথা মতো সবার কাছে গিয়ে আমার ফোন দিয়ে কথা বলিয়ে দিই। টাকা চাওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। পরে ব্যবসায়ীরা যখন আমাকে টাকা চাওয়ার কথা জানায় তখন আমি তাদেরকে টাকা দিতে নিষেধ করি। বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির সাথে খারাপ আচরণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনারাই বরং আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। গদখালি বাজারের ব্যবসায়ীগন ফোন করে তাদের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। যে নং থেকে সবার কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.