রাজনীতি | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 41379 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে হামলা বন্ধের দাবিতে সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশে আগামী অক্টোবর ও নভেম্বরে সরকারের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়।
শুক্রবার বিকালে শাহবাগ চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি জোটের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। অক্টোবরের শুরুতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হবে।
সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রতিদিনই সরকার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের খুন করছে, গুম করছে। এ সরকার একটিও সত্য কথা বলে না। সরকারের কাছে চাল কেনার টাকা পর্যন্ত নেই, অথচ নিয়মিত মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। আগামী দিনের কর্মসূচিতে প্রয়োজনে এক সাগর রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারের পতন করে ছাড়বো।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মেয়েরা ফুটবল খেলে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে, আর ইডেন কলেজের সরকারদলীয় মেয়েরা দেশের মান-সম্মান বিসর্জন দিচ্ছে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকারকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে। সারাদেশে বিরোধীদলীয় সভা-সমাবেশে হামলা বন্ধ করতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ নির্দিষ্ট সাতদফা দাবি নিয়ে আমরা মাঠে নামছি।
সরকার বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মিছিলে গুলি করে মানুষ হত্যা করছে। যখনই সরকার বিরোধীদলের মিছিলে গুলি করছে, তখনই আমাদের বুঝতে হবে, এ সরকারের পায়ের তলায় আর মাটি নেই। তাদের পতন ঘনিয়ে আসছে। তাই আগামীতে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামবো।
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, আমরা কোনো দলকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে নিঃশ্চিহ্ন করে দিতে চাই না। আমরা চাই দেশের সরকার ও শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মানুষকে গুম-খুন করছে, সভা-সমাবেশে নির্বিচারে হামলা করছে। এগুলো আর মেনে নেওয়া যায় না।
নুর বলেন, আজ রাষ্ট্রের প্রশাসনকে নগ্নভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। আজ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে মোনাজাত করেছেন। এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে? তাই সরকারকে বলবো, অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন, সংসদ বাতিল করে বিদায় নিন।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ এখন পুরোপুরি সন্ত্রাসীদের দলে পরিণত হয়েছে। সরকার এখন বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গুলি করছে, বাড়িতে বাড়েতে হামলা করছে। এগুলো আর সহ্য করা হবে না।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে বলেন, সরকার বেগম জিয়ার সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রকেও বন্দি করে রেখেছে। জনগণের বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে। এ থেকে মুক্তি পেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, আব্দুল মালেক ফরায়েজী প্রমুখ।