ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই আ’লীগ নেতা মনোনায়পত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিকারী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী কনক কান্তি দাসের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের নেতা এম হারুন অর রশিদের ফের ভোটযুদ্ধ হতে যাচ্ছে। এর আগে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন, জেলা আ’লীগের ধর্ম বিষায়ক সম্পাদক সাকে পৌর চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান খোকা ও সৃজনী বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম হারুন অর রশিদসহ ৪ জন মনোনায়নপত্র দাখিল করেন।
দলীয় সমাঝোতায় গত ২২ সেপ্টেম্বর আনিছুর রহমান খোকা এবং গতকাল রোববার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন মনোনায়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। যে কারনে গত ৫ বছর আগে অনুষ্ঠিত সেই পুরানো দুই প্রার্থী এবারো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতায় লিপ্ত হয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস বলেন, তিনি আশা করেন এবারের নির্বাচনে তেমন কোন প্রতিদ্বন্দিতা ছাড়ায় জয়লাভ করবেন। তিনি জানান দলের যে দু’জন প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মনোনায়ন দাখিল করেছিলেন, তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই সাথে ওই দুই জন নেতাসহ দলিয় নেতৃবৃন্দ তার পক্ষে কাজ করছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সৃজনী বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম হারুন অর রশিদ বলেন, গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তিনি সামন্য ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারো তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি আরো বলেন গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচন যদি সেই ভাবে সম্পন্ন হয় তাহলে তিনি অবশ্যই বিজয়ী হবেন বলে জোর দাবি রাখেন। উল্লেখ্য হারুন অর রশিদ এর আগে একাধিকবার পৌরসভা ও উপজেলা পরিষধ নির্বাচনে দাড়িয়ে পরাজিত হন। ঝিনাাইদহ জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম আব্দুল হাকিম আহম্মেদ বলেন দলিয় নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করছেন এবং দুইজন সিনিয়র নেতা তাদের মনোনায়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যে কারনে তাদের দলিয় প্রার্থীর জয়লাভের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদি। এদিকে জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায় জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য পদে ৩ জন মনোনায়ন পত্র প্রত্যাহার করেছে। ফলে এখন সাধারণ সদস্য পদে ২২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.