নিজস্ব প্রতিবেদক : তুচ্ছ ঘটনায় যশোরের বসুন্দিয়ায় তামিম হোসেন (১২) নামে এক মাদ্রাসার ছাত্রকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষক। বিষয়টি জানতে চাওয়ায় উল্টো ভুক্তভোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষক হফেজ হুমায়ুন কবীর। গত ৩ আগস্ট শনিবার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর মোগলবাড়ি সংলগ্ন মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া নূরানী এতিমখানা ও মাদ্রাসায় এই ঘটনায় ঘটে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। আহত তামিম হোসেন একই উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের শিবানন্দপুর গ্রামের দিলু সরদারের ছেলে।
আহত তামিমের পিতা- মাতা সাংবাদিদের জানান , গত ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২২শনিবার খাবার খাওয়া কে কেন্দ্র করে তামিমকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এ সময় বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের উপরের হাড়সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্নক আঘাত পায় তামিম। এঅবস্থায় তামিমকে মাদ্রাসা থেকে বের হতে দেওয়া হয়না। এক সপ্তাহ পার হলেও আহত তামিমকে কোন প্রকার চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তাকে মারধরের বিষয়ে বাড়িতে যেন কিছু না জানানো হয় সে ব্যাপারে বার বার শাষিয়ে দেয় হুজুর হুমায়ুন কবীর। গত ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার ব্যাথায় যন্ত্রনায় তামিম মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে পালিয়ে আসে। ছেলের হাত ফোলা, রক্তে জমাট কালো দেখে মায়ের জোরাজুরির এক পর্যায়ে তামিম তার মায়ের কাছে সত্য ঘটনা খুলে বলে। এরপর আহত তামিমকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্মরত ডাক্তার এক্সরে করে জানায় তামিমের হাতের একটি হাড় ভেঙ্গে গেছে অপারেশন করতে হবে। এরপর ভাঙ্গা স্থান অপারেশন করা হয় ।
তামিমের মা ছেলেকে এভাবে মারপিট করে আহত করার বিষয়ে হুজুর হুমায়ুন কবীরকে ফোন করে জানতে চাইলে হুজুর রেগে যান এবং মামলার হুমকি দেন। এঘটনায়
ভূক্তভোগির পিতা বলেন, আমরা গরিব অসহায় আমাদের কথা কে বা শুনবে, না জানি হয়ত আরো কত বাচ্চাদের সাথে এমন আচরন করে ভয়ে হয়তো অভিভাবকদের কাছে বাচ্চারা মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না, এসব বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন, বলেন আপনাদের সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আমি যেন ন্যায় বিচার পাই সে ব্যাপার প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.