খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ জুলাই ৩০, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3574 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : একজন মানুষ মহৎ হয়ে ওঠেন তার কর্মগুণে। পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা তাদের কর্ম, ধ্যান-জ্ঞান, অর্জন সবকিছু উৎসর্গ করেন দেশের স্বার্থে, মানুষের কল্যাণে। নিঃস্বার্থভাবে করেন মানুষের উপকার, দেশের কল্যাণে। তারা কর্তব্য কাজে ফাঁকি না দিয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। এমনই একজন হলেন দেশসেরা উপজেলা প্রশাসক, মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান, যশোর জেলার-মনিরামপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) (বিসিএস) ৩৩ ব্যাঢ।
তিনি ২০২০ সালের ২৮ জুন, যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষার হালটা যখন তেলহীন প্রদীপের মতো নিভু নিভু অবস্থা। তখন এই কর্মবীর শৈল্পিক মানুষটি মলিরামপুর উপজেলায় যোগদান করেই শিক্ষাকে সর্বজনীন, গুণগত ও মানসম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে প্রাথমিক শিক্ষার ওপর কাজ শুরু করেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন- প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শিশুর মেধা বিকাশের বুনিয়াদ গঠন হয়। তাই রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন, ক্ষেতের আলপথ দিয়ে হেঁটে, তিনি ছুটে চলেন ভৌগোলিকভাবে অবস্থিত গ্রাম্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে। যেখানে আগে কখনো কোনো ইউএনওর পায়ের চিহ্ন পড়েনি।
অভিভাবক, শিক্ষক এবং এলাকার গণ্যমান্য সচেতন ব্যক্তিরা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে যদি তার মতো আরো ১০০ জন এরকম নিবেদিত প্রাণ, দেশপ্রেমিক, সৎ, কর্মবীর সৈয়দ জাকির হাসান থাকত তাহলে উন্নত জাতি গঠনের মূলভিত্তি প্রাথমিক শিক্ষার চিত্রটা পাল্টে যেত এ দেশে। চিরনবীন এই মানুষটি মন ও মননে সব সময় একজন সুচিন্তার মানুষ। শ্রদ্ধা রইল এই সাদামনের উচ্চশিক্ষিত, উদারমনা ও মুক্তচিন্তার মানুষটির জন্য।
তিনি ২০২০ সালে যখন মনিরামপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব নেন। তারপর থেকেই প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন দেশকে মাদক ও দূণীতিকে জিরো টলারেন্স করতে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মনিরামপুর নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন । নিজেকে দূণীতির উদ্ধে রেখে স্বজনপ্রীতি,দলীয়করনসহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে রয়েছেন সোচ্চার ও কঠোর। ঘুষ এবং দুর্নীতিকে না বলে, তা থেকে নিজেকে রেখেছেন অনেক দুরে । ছোট ১ টি শিশু সস্তান থাকার পরেও কখনও তিনি তার কর্তব্য থেকে এতটুকু বিচ্ছুতি হননি । অফিস এর কোন কাজ পেন্ডিং রাখেন না । নিজের সংসার সামলিয়ে নিয়মিত অফিস করেন তিনি। তিনি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের আদর্শ । অফিসকে কখনও নিজের সংসারের মাঝে আনেন না। তিনি যেমন সদালাপী, মিষ্টভাষী কর্তব্যপরায়ন মমতাময়ী আদর্শবান এক বাবা, তেমনি অপরাধীদের জন্য আতংক ।
তিনি মনিরামপুর উপজেলার দায়িত্ব নেওয়ার পর জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের আওতায় মানুষ ঘর তৈরী করে দিয়েছেন। এর মধ্যে রাস্তার মেরামত বরাদ্ধ প্রদান করা, শিল্পকলা একাডেমী সংস্কার, বৃক্ষ রোপণ অভিযান, মোবাইল কোটের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা, মাদক নিয়ন্ত্রন, ভাল কাজের জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি,আলোকিত মানুষ হওয়ার আহবানসহ দাপ্তরিক কর্মকান্ড অত্যান্ত নিপুনতার সহিত পালন করে চলেছেন । তিনি সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে মনিরামপুর উপজেলাকে একটি আদর্শ্য উপজেলা তৈরী করতে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।