সানজিদা আক্তার সান্তনা, যশোর অফিস : যৌতুক দাবির অভিযোগে পুলিশ সদস্য মামুন গাজীর বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার যশোর সদরের বাহাদুরপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে মৌসুমি আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা করছেনে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। আসামি মামুন গাজী যশোর শহররে বাগমারা পুকুরপাড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি খুলনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত আছেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২১ সালরে ২০ সেপ্টেম্বরে যশোর সদরের বাহাদুরপুর গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের মেয়ে মৌসুমি আক্তারকে বিয়ে করেন মামুন গাজী। বিয়ের সময় মামুন গাজী তার কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নেই এমন দাবি করে জমি কেনার জন্য শ্বশুর ফারুক হোসেনের কাছ থকেে ২ লাখ টাকা উপঢৌকন হিসেবে আদায় করেন। চলতি বছররে ১১ র্মাচ মামুন গাজী তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তারকে নয়িে বাহাদুরপুরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। এদিন তিনি জমি কেনার জন্য স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করনে। পিতার আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মৌসুমি আক্তার যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামুন তাকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করার হুমকি দিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে যান।

গত ৮ মে মামুন গাজী আবারও ৫ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে স্ত্রীর ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ লিখে পাঠান। এ ঘটনায় মৌসুমি আক্তার ও তার পিতা ফারুক হোসনে খুলনায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকারের কাছে অভিযোগ করেন। তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার মামুন গাজীকে ডেকে এক মাসের মধ্যে খুলনায় বাসা নিয়ে স্ত্রীর সাথে সংসার করার নির্দেশ দেন। মামুন গাজী তখন র্ঊদ্ধতন র্কমর্কতার প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশও করনে।

গত ৩০ মে দুপুরে যশোর শহরে দেখা করে মামুন গাজী তার স্ত্রী ও শ্বশুরকে জানিয়ে দেন যৌতুক ছাড়া তার স্ত্রীকে বাড়ি নিবেনা। বিষয়টি মীমাংসায় র্ব্যথ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।