বিনোদন ডেস্ক : মহানায়ক উত্তম কুমারের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮০ সালের ২৪শে জুলাই কলকাতায় মারা যান বাংলা ছবির সর্বকালের সেরা নায়কদের অন্যতম এই অভিনেতা। উত্তম কুমারের পারিবারিক নাম অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়। চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি মঞ্চেরও একজন সফল অভিনেতা।
উত্তম কুমার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি দৃষ্টিদান। এরপর ধীরে ধীরে আরও একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। তার অভিনীত ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ মুক্তি পাওয়ার পরই তিনি চলচ্চিত্রে স্হায়ী আসন লাভ করেন। এই ছবিতেই তিনি প্রথম সুচিত্রা সেনের বিপরীতে অভিনয় করেন। উত্তম-সুচিত্রার প্রথম আবির্ভাবের এই ছবিটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়।
১৯৮০ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছরে বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে প্রায় আড়াইশ ছবিতে অভিনয় করেছেন উত্তম কুমার। এর মধ্যে উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন জুটি হয়ে অন্তত ৩১টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এই জুটির বিখ্যাত ছবিগুলোর অন্যতম: হারানো সুর, পথে হলো দেরী, সপ্তপদী, চাওয়া পাওয়া, বিপাশা, জীবন তৃষ্ণা, সাগরিকা ইত্যাদি। উত্তমের অভিনীত হিন্দি ছবিগুলোর অন্যতম ছোটিসি মুলাকাত ও অমানুষ। চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি মঞ্চেরও একজন সফল অভিনেতা।
সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত দুটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন উত্তম। প্রথমটি নায়ক, দ্বিতীয়টি চিড়িয়াখানা। নায়ক ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমেই তিনি বাঙালির চিরায়ত নায়ক চরিত্রের প্রতিনিধি হয়ে ওঠেন। নায়ক বলতে বাঙালি দর্শকের চোখে ভেসে ওঠে যে চেহারা, তা উত্তম কুমারেরই চেহারা। এই ছবিতে উত্তমের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। ১৯৬৭ সালে অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি ও চিড়িয়াখানা ছবির জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন।
উত্তম কুমার গৌরী দেবীকে বিয়ে করেন। তাদের একমাত্র সন্তান গৌতম চট্টোপাধ্যায় মাত্র ৫৩ বছর বয়সে ক্যান্সারে মারা যান। গৌরব চট্টোপাধ্যায় উত্তম কুমারের একমাত্র নাতি। তিনি বর্তমানে টালিগঞ্জের জনপ্রিয় ব্যস্ত অভিনেতা।
১৯৬৩ সালে ৫৪ বছর বয়সে এই মহানায়ক কোলকাতায় ওগো বধূ সুন্দরী ছবির শুটিং করতে করতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি তৎকালীন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে বসবাস করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.