শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি: মাগুরার শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম মোল্যার বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূ।
রোববার মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রণব কুমার দাস মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।আদালতে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার বাদী ওই গৃহিণীর বাড়ি শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের খাঠোর গ্রামে। অন্যদিকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আবদুল হালিম মোল্যা পাশ্ববর্তী বামনখালি গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী গৃহিণীর অভিযোগ, পরিবারের অসচ্ছলতার সুযোগ নিয়ে স্বামীর অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যান আবদুল হালিম মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে যাওয়া আসা করেন এবং নানা প্রলোভন, ভয়ভীতি ও বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে দিয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি তাকে আগের স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটান। কিন্তু পরে তাকে বিয়ে করেননি। উপরন্তু সর্বশেষ ১৬ জুলাই শনিবার রাত ৯টার দিকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ঐ চেয়ারম্যান। রোববার আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি।
আদালতে মামলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী মির্জা হাফিজ বলেন, মামলাটি থানায় নথিভুক্তির জন্য আদালতে আবেদন করা হলেও মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিষয়টি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে রোববার আদালতে মামলাটি দায়েরের পর একটি টিনের চালার ঘরের মধ্যে ওই গৃহবধূ এবং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিমকে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে চেয়ারম্যানের কক্ষে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশার একটি স্থিরচিত্রও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি উভয়ের মধ্যকার স্বাভাবিক সম্পর্ক হিসেবে দেখা যায়।ধর্ষণ মামলার বিষয়ে মামলাটির বাদী বলেন, চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময়ে নানা কৌশলে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার কাছে এসেছেন। মোবাইলে ছবি তুলে ভয় দেখিয়ে মেলামেশা করেছেন। প্রাণভয়ে কখনো বাধা দিতে পারিনি। ঈদের আগে আমার স্বামীকেও পরিষদে ডেকে নিয়ে মারধর করেছেন। দিনে দিনে আমার ও পরিবারের ওপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে বিধায় মামলাটি করতে বাধ্য হয়েছি।এব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আবদুল হালিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে কতিপয় লোক নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এসব মামলা সাজানো হতে পারে।এছাড়াও ভাইরাল হওয়া ভিডিও এবং ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই নারী একজন ইউপি সদস্যের স্ত্রী। বিভিন্ন সময় আমার অফিসে এসে পাশে বসেছেন। কিন্তু আমি পুরোনো আমলের মানুষ। কীভাবে নোংরা ভিডিও তৈরি করা হয়েছে আমার জানা নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.