আনিছুর রহমান: মণিরামপুরে গভীর রাতে যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলামকে কে বা কারা হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের কীর্তিবাসের মোড় থেকে বাড়ি যাওয়ার পথিমধ‍্যে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়ন যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোবারকপুর গ্রামের মৃত জাহাবখস সরদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম শনিবার রাত দেড়টার দিকে হাঁটতে হাঁটতে মোবারকপুর কীর্তিবাসের মোড় থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ‍্যে ব্রীজের কাছে পৌছালে মুখোশধারী ৫/৬ জন লোক তাকে ধরে মাঠের ভীতরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায়, ঘাড়ে ও পিঁঠে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় নিশ্চিত মৃত‍্যু ভেবে ফেলে রেখে যায়। কথায় বলে রাখে আল্লাহ মারে কে? ঠিক তেমনি ঘটনাটি ঘটে গেলো। ফেলে রাখার অনেকক্ষন পর শহিদুলের জ্ঞান ফেরে। তখন সে কোন রকম টেনে হেঁচড়ে যেয়ে বাড়ির পাশে যেয়ে পড়ে যায়। এ সময় তার গোংরানিতে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে শহিদুলকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে ও তার বাড়িতে সংবাদ দেয়। ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন‍্য তাকে যশোর ২৫০ শয‍্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। এ বিষয়ে কথা হয় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোবারকপুর গ্রামের ইমরান খান পান্নার সাথে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, আমি শহিদুলের সাথে কথা বলে যতটুকু জানতে পেরেছি। সে বলেছে আমি রাত দেড়টার দিকে হেঁটে বাড়ি আসছিলাম। ব্রীজের ওখানে আসলে হঠাৎ কয়েকজন এসে আমাকে ধরে চোখ বেঁধে রাস্তার নীচে নিয়ে যায় এবং তারা মাথায় আঘাত করলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পান্না আরো বলেন পুর্ব শত্রুতার জের ধরে শহিদুলকে হত‍্যার উদ্দেশ‍্যে জখম করা হয়েছে। শহীদুল্লাহর অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় যশোর সদরে সকালে ডাক্তার ডাকে ঢাকায় রেফার্ড করেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।