ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ভারতে গ্রেফতার হওয়া পি কে হালদারসহ পাঁচজনকে আরও ২৫ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন দেশটির আদালত। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় ব্যাঙ্কশালের বিশেষ সিবিআই আদালতে তাকে উঠানো হয়। এসময় শুনানি শেষে বিচারপতি জীবন কুমার সাঁধু এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে পি কে হালদারের মেডিকেল পরীক্ষা করিয়ে পরবর্তী শুনানির দিনে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি পি কে হালদার। এসময় চুপ ছিলেন তিনি। এর আগে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) আদালতে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতারের প্রায় ৬০ দিনের মাথায় এই অভিযোগপত্র দেওয়া হলো।
ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, জেল হেফাজতে পি কে হালদারের মেডিকেল পরীক্ষা করিয়ে আগামী শুনানির দিনে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ১০ আগস্ট অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করা হবে। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গেছে তা অভিযোগপত্রে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক অভিযোগপত্র হয়েছে ১০০ পাতার। তবে এতে নতুন কোনো নাম যোগ করা হয়নি। এছাড়া সামনে তদন্ত করে আরও যে তথ্য পাওয়া যাবে তা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট করা হবে।
ইডির আইনজীবী জানান, ভারতে এখন পর্যন্ত ৪১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং বাড়ি-জমি মিলিয়ে ১৮টি স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা। এ বিষয়গুলো অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা আছে।
এর আগে এই আইনজীবী জানিয়েছিলেন, পি কে হালদারসহ মোট ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জ গঠন করা হয়েছে। তবে নতুন কোনো ধারায় তাদের অভিযুক্ত করা হয়নি। প্রাথমিক চার্জশিটে ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২’ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।
ইডি বলেছে, একাধিক ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে ভারতের বিনিয়োগ করেছিলেন পি কে ও তার সহযোগীরা। কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে উঠে এসেছিল প্রায় ৫৫ জন প্রভাবশালী বাংলাদেশির নাম। যদিও গেলো ৫ জুলাই শুনানির দিন ইডি জানিয়েছে, পি কে হালদার মামলায় তদন্তের আওতার বাইরে রাখা হবে আলোচিত বাংলাদেশি প্রভাবশালীদের নাম।
ইডির আইনজীবী জানান, আলোচিত কোম্পানি দুটির ডিরেক্টররা প্রত্যেকেই স্লিপিং পার্টনার হিসেবে ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এখনই আমরা করছি না। গত ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে ইডি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.