যশোর অফিস : যশোরের যুবদল নেতা ধনী হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আরেক আসামিকে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৬। পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে যশোর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধনীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- যশোর রেল রোডের টিভি ক্লিনিক মোড়ের ফরিদ মুন্সির ছেলে প্রধান আসামি রায়হান (২৫) এবং শংকরপুর হারানবাড়ি এলাকার বাবু মীরের ছেলে ৭ নম্বর আসামি ইছা মীর (২০)। হত্যায় ব্যবহৃত দুটি গাছি দা, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি বার্মিজ চাকুও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- নিহত বদিউজ্জামান ধনী যশোর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। একই এলাকার ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী শামীম আহম্মেদ মানুয়ার সঙ্গে ধনীর দীর্ঘদিনের দলীয় কোন্দল, মানুয়ার জামাতা ইয়াসিন আরাফাতকে হত্যা ও দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে বদিউজ্জামান ধোনিকে হত্যা করা হয়। মানুয়ার নির্দেশে তার ভাগনে রায়হান ধনীকে হত্যা করে।

নিহত বদিউজ্জামান ধনী ও আসামিদের পিসি/পিআর যাচাই করে দেখা যায়, নিহত ধনীর বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা, একটি অস্ত্র মামলা, একটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলা ও একটি বিস্ফোরক মামলাসহ মোট ১২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত রায়হানের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা, একটি মাদক মামলা, দুটি চাঁদাবাজি মামলাসহ চারটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

এদিকে বদিউজ্জামান ধনী হত্যা মামলার আরেক এজাহারভুক্ত আসামি আল আমিন ওরফে চোর আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৬ এর যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা। আল আমিন শহরের টিবি ক্লিনিক এলাকার রইস উদ্দিনের ছেলে।

র‌্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার লে. এম নাজিউর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বুধবার গভীর রাতে আল আমিনকে গ্রেপ্তারের পর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে হত্যার ঘটনায় বদিউজ্জামানের ভাই মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের শংকরপুর আকবারের মোড় এলাকায় জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধোনিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।