নিজস্ব প্রতিবেদক : ১ সপ্তাহের ব্যবধানে শার্শায় হালি প্রতি ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। বর্তমানে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১১ টাকা করে। এমতাবস্থায় ডিমের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা।

শার্শার নাভারন সহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, লেয়ার মুরগির লাল ১০০ টি ডিম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১১৪০ থেকে ১১৫০ টাকা দরে। এই ডিম খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা হালিতে; যা ঈদের আগেও বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা হালিতে। অর্থাৎ হালিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। তবে কোনো ক্রেতা একটি কিংবা দুটি ডিম কিনছেন সাড়ে ১১ টাকা দিয়ে।

খচুরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত ৭ মে পর্যন্ত ডিমের দাম কম ছিল। কিন্তু ৮ মে থেকে দাম বাড়তে শুরু করেছে। তারা বলেন, ঈদের আগে লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি করেছি ৩৫ টাকা হালি দরে। আর এক ডজন বিক্রি করেছি ১৩৮ টাকায়।

নাভারন বাজারের ব্যবসায়ী সোহাগ জানান, ঈদের আগে থেকেই ডিমের বাজার গরম। বাজার নিয়ন্ত্রনের কোন ব্যবস্থা নেই। এখানে এক কোম্পানীর ডিম বিক্রি হয়। অন্য কোন কোম্পানীর ডিম বাজারে ঢুকতে দেয়া হয় না।

তিনি আরও বলেন, এক কেস (৩০) ডিম বিক্রি করছি ৩৪০ টাকা। তাতে লাভ হয় সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৮ টাকা। কিন্তু একটি ডিম ভেঙে গেলে চলে যায় সাড়ে ১১ টাকা। লাভ আর থাকে না। ব্যবসা ধরে রাখার জন্য ডিম বিক্রি করছি।