আব্দুল্লাহ আল-মামুন, স্টাফ রিপোর্টার : ট্রাফিক আইন অমান্য করে বেনাপোল-যশোর মেইন সড়কসহ পার্শ্ববর্তী সড়ক গুলিতে ইজিবাইক, ভ্যান ও বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনে এলইডি লাইট ব্যবহার করায় পথচারীসহ মোটর সাইকেল চালকরা পড়েছে বিপাকে। এতে প্রায়ই সড়কে ঘটছে দূর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাতের বেলায় এলইডি লাইট লাগানো ইজিবাইক এবং ভ্যান চলাচল করলে তার সামনে পড়া মোটর সাইকেল এবং পথচারীরা চোখে কিছু দেখতে পারছে না। এ লাইটের পাওয়ার এত বেশী যে মানুষের চোখে লাগলে প্রায় ৫ থেকে ১০ মিনিট চোখে অন্ধকার দেখছে তারা। আর এতে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো দূর্ঘটনা ঘটছে। ইজিবাইক ও ভ্যান চালকেরা দোকান থেকে এলইডি লাইট কিনে ইচ্ছা মত মিস্ত্রী দিয়ে লাগিয়ে নিচ্ছে তার ইজিবাইক কিংবা ভ্যানে।
এ বিষয়ে মিজানুর রহমান নামে একজন ইজিবাইক চালক জানান, আমাদের ইজিবাইক গুলোতে যে লাইট থাকে তার পাওয়ার কম এবং ব্যাটারি চালিত এ গাড়ীতে যে লাইট থাকে তা ব্যাটারির চার্জও দ্রুত খেয়ে ফেলে, তাই আলাদা ভাবে এলইডি লাইট লাগিয়ে নিয়েছি। একই কথা বললেন আনার আলী নামে একজন ভ্যান চালক।
তবে, এ লাইট ব্যবহারে তাদের এখনো কোন প্রশাসনিক বাঁধা কিংবা নিষেধ আসিনি বলে জানান তারা।
ট্রাক চালক শেখ আরজান আলী এবং মোটর সাইকেল চালক ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদ ও হায়দার আলী জানান, সন্ধ্যার পর বেনাপোল -যশোর সড়কে এই এলইডি লাইট লাগানো ইজিবাইক আর ভ্যানের জন্য চলাচল করা যাচ্ছে না। এ লাইট চোঁখে লাগলে চোঁখে কিছুই দেখা যায় না। এই লাইটের ব্যবহার এভাবে চলতে থাকলে পথচারী ও গাড়ী চালকদের চোখে মারাত্বক সমস্যা দেখা দিবে।
বেনাপোল বাজারের প্রবীণ চিকিৎসক শাহ্জালাল খাঁন মন্টু জানান, এলইডি লাইটের তীর্যক আলো চোখ ও স্নায়ুর উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে এবং চোখের লেন্স হয়ে রেটিনার উপর পড়ে। তখন অপটিক নার্ভ উত্তেজিত হয়ে মাথার নার্ভ সিস্টেমে ব্যাপক ক্ষতি করে। এ লাইটের তীর্যকতা সরাসরি চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
বেনাপোল বন্দরের ট্রাফিক ইউনিটের সার্জন সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ লাইটের ব্যবহার ইজিবাইক, ভ্যানে সম্পূর্ণ নিষেধ। যারা আইন অমান্য করে ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাক্তার ইউসুফ আলী জানান, এলইডি লাইটের তীর্যক আলো পথচারী বা কারো যদি সরাসরি চোখে লাগে তবে সে ক্ষেত্রে চোখের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যানবাহনে এ লাইটের ব্যবহার বন্ধ না করলে মারাত্মক ক্ষতি হবে শিশুসহ নানা শ্রেণির মানুষের চোখের। বাড়বে সড়ক দূর্ঘটনা। তাই অচিরেই যানবাহনে এ লাইটের ব্যবহার বন্ধ হোক এমনটাই দাবী ভুক্তভোগী মানুষের।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.