স্টাফ রিপোর্টার : ঈদুল আযহা উপলক্ষে সাপ্তাহিক গ্রামের সংবাদ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ ইয়ানূর রহমান তার বাণীতে বলেন, লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষসহ মনের পশুকে বিসর্জন করার বাণী নিয়ে আবারও এসেছে ঈদুল আযহা। কুরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতায় আমাদের হৃদয়কে প্রসারিত করে। কুরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়লা এরশাদ করেন, আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কুরবানির বিশেষ রীতি ও প্রদ্ধতি নির্ধারণ করে দিয়েছি, যেন তারা ওই সব পশুর উপর আল্লাহর নাম নিতে পারে, যা আল্লাহ তাদেরকে দান করেছেন। (সুরা হজ্ব: আয়াত ৩৪) এবং চার হাজার বছর আগে আল্লাহর হুকুমে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) তার সবচেয়ে প্রিয় একমাত্র ছেলে হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কুরবানি করার উদ্দ্যোগ নেন। তবে আল্লাহর কুদরতে হযরত ইসমাইল (আঃ) এর পরিবর্তে একটি
দুম্বা কুরবানি হয়। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এই ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্মরণ করে বিশ্ব মুসলমানরা প্রতি বছর কুরবানি করে থাকে। তবে আল্লাহর পথে ত্যাগ ঈদুল আযহার প্রধান শিক্ষা। পশু জবেহ করে তা বিলিয়ে দেওয়া দান নয়, এইটা আমাদের ধর্মীয় কর্তব্য।

পরিশেষে, দেশবাসী সকলের জন্যে রইল আবারও পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা। ঈদ মুবারক…….

শুভেচ্ছান্তে:
মোঃ ইয়ানূর রহমান
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
সাপ্তাহিক গ্রামের সংবাদ ও সম্পাদক, অনলাইন সংস্করণ।