আশরাফুজ্জামান বাবু, ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড খালপাড়া এবং ১নং ওয়ার্ড কলোনি পাড়ার সংযোগস্থলে কাটাখলের উপর নির্মাণাধীন সেতুর নাম ঝিকরগাছা পৌরসভার মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামালের নামে “মেয়র জামাল সেতু” করার দাবী করেছেন স্হানীয় জনগন।

সি আর ডি পি ২ প্রজেক্টের আওতায় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে ঝিকরগাছা পৌরসভায় ৮টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ৩,৯৩,০২,১০০ টাকা ব্যায়ে কাটাখালের উপর ৩৬ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৫ মিটার প্রস্হের একটি সেতু নির্মাণ প্রকল্প। শামিম চাকলাদার এবং মোজাহার এন্টারপ্রাইজ যৌথ ভাবে এই সেতু নির্মাণ করছে।এবছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সেতুটি নির্মিত হলে ঝিকরগাছা মুল শহরের সাথে কাটাখালের অপর প্রান্তের দুরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার কমে যাবে। এই সেতুর অভাবে এখন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্হানীয় জনগনকে ২ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় দু’পারের বাসিন্দাদের মধ্যেই বইছে আনন্দের হাওয়া। সাবেক ইউ পি সদস্য এবং স্হানীয় বাইতুল আমান জামে মসজিদ এর সহ সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, যেখানে সেতু নির্মিত হচ্ছে বহু আগে এখানে একটি বাঁশের সাঁকো ছিলো। সেই সাঁকো দিয়ে ওপারের লোকজন এপারে আসতো। সময়ের বিবর্তনে সাকোঁটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এই জায়গায় একটি সেতু নির্মাণ এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিলো। এতদিন পরে এখানে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করায় পৌরসভার মেয়রকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বায়তুল আমান জামে মসজিদের কার্যকরী সদস্য স্হানীয় বাসিন্দা আজহারুল ইসলাম বাবলু বলেন, এতদিন ধরে শুধু শুনেই আসছিলাম এখানে একটা সেতু হবে, আজ তার বাস্তব কাজ দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। এই সেতুটা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য পৌর মেয়রকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তাদের মতো এখানকার সকল বাসিন্দাই পৌরমেয়রকে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।

স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, এই স্হানে ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি সেতু নির্মাণের টেন্ডার হয়। কিন্তু ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকেই পৌরসভার মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল এখানে একটি সেতু নির্মাণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অবশেষে ২০২২ সালে নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তিনি প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করতে সক্ষম হন। যেহেতু মেয়র জামাল এই সেতু নির্মাণে সর্বোচ্চ ভুমিকা রেখেছেন তাই তার নামানুসারে এই সেতুর নাম “মেয়র জামাল সেতু” করার দাবী জানিয়েছেন স্হানীয় বাসিন্দারা।