সানজিদা আক্তার সান্তনা, যশোর অফিস : সয়াবিন তেলের দাম কমলেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্য পণ্য সামগ্রী। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ হয়েছে ১৯৯ টাকা। তবে বাজারে নতুন দামের তেল না আসায় আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল।

এরমধ্যে আলুর দাম কেজিতে ৩ টাকা আর পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, সবজি, রসুনের দাম। শুক্রবার বিকেলে শহরের বড় বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমেছে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম কমানো হয়েছে ৬ টাকা। সরকার নির্ধারিত ১৯৮ টাকা লিটার সয়াবিন তেল ঘোষনা ছাড়াই ৭ টাকা বেড়ে ২০৫ টাকা লিটার হয়েছে। এর মধ্যে সরকার প্রতিলিটার সয়াবিন তেলের দাম ৬ টাকা কমিয়ে ১৯৯ টাকা করেছে। তবে বাজারে এ দামের সয়াবিন তেল না আসায় আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ২০৫ টাকা। ২১০ টাকা কেজি বিক্রি হয় খোলা সয়াবিন তেল। প্রতি কেজি পাম তেল বিক্রি হয় ১৮৪ টাকা।

বাজারে সবজির দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখি। প্রতি কেজি পটল বিক্রি হয় ৩০ টাকা। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কাঁকরোল। প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রিয় হয় ২০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় উচ্ছে। প্রতি কেজি কচুর লতি বিক্রি হয় ৫০ টাকা। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় মিষ্টি কুমড়া। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বরবটি। প্রতি কেজি ডাটা বিক্রি হয় ২০ টাকা। ২৫ টাকা ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কুশি। প্রতি পিচ লাউ বিক্রি হয় ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা। ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কচুরমুখি। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা। ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় পেঁপে। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ঝিঙে। প্রতি কেজি কুশি বিক্রি হয় ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা। ২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ধুন্দল। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয় ১শ’ টাকা। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় সবুজ শাক। প্রতি কেজি কলা বিক্রি হয় ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা।

বাজারে পেঁয়াজ ও আলু দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা আর ৩ টাকা কেজিতে বেড়েছে আলুর দাম। রসুন ও মরিচের দাম আগের মত আছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৪০ টাকা ৪৫ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় রসুন। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ২৮ টাকা। ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি মরিচ। প্রতি কেজি আমদানিকৃত রসুন বিক্রি হয় ১শ’৪০ টাকা।

বাজারে ডালের আগের মত আছে। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১শ’২৫ টাকা। ১শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয় আমদানিকৃত মুসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হয় ৭৫ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের ডাল। প্রতি কেজি মুগের ডাল বিক্রি হয় ১শ’ টাকা থেকে ১শ’৪০ টাকা।

বাজারে চালের দামও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখি। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হয় ৪৪ টাকা থেকে ৪৬ টাকা। ৫২ টাকা থেকে ৫৪ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-২৮ চাল। প্রতি কেজি কাজল লতা চাল বিক্রি হয় ৫২ টাকা থেকে ৫৬ টাকা। ৬৮ টাকা থেকে ৭৪ টাকা কেজি বিক্রি হয় বাঁশমতি চাল। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৬২ টাকা থেকে ৬৫ টাকা।