প্রভাষক আসাদুজ্জামান ফারুকী, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করে তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে প্রেমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৯ জুন) রাত ১টার দিকে উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের কাজিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে।
মৃত্যু হওয়া পরকিয়া প্রেমিক নিজাম উদ্দীন (৪৫) কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালচাতার গ্রামের মৃত ফকির আহম্মেদের ছেলে। তিনি কাজিরহাট বাজারের বিকাশের এজেন্ট ও মুদি ব্যবসায়ী।
আটকরা হলেন- দুবাই প্রবাসী আব্দুস সামাদের স্ত্রী কথিত পরকিয়া প্রেমিকা তহমিনা বেগম (৩৮), তার পুত্র সুমন (২১), তাদের প্রতিবেশী প্রবাসীর চাচাতো ভাই আব্দুল মাজেদ (৫০) ও মাজেদের ছেলে মোমিনুল ইসলাম (২০)।
মৃত নিজাম উদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল দাবি করে বলেন, রাতে দোকান থেকে তার বাবা বাড়ি ফিরছিলেন। তার কাছে টাকা ছিল। টাকাগুলো কেড়ে নেয়ার জন্য বাবাকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে।
তবে স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বিকাশের এজেন্ট নিজাম উদ্দীন ও দুবাই প্রবাসী আব্দুস সামাদের স্ত্রী তহমিনার মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। রাতে পরকিয়া প্রেমিক ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দীন তার বাড়িতে আটকের পর চড় থাপ্পড় দিলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। দৌঁড়াতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে সে মারা যায়।
আটক মাজেদের কন্যা সাবিনা খাতুন জানান, রাতে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে এক ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করলে ওই ব্যক্তি দৌড়ে পুকুরের পানিতে পড়ে যান। বাবা-ভাইয়েরা তাকে (নিজাম উদ্দীন) পানি থেকে তুললে দেখেন তিনি মৃত।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা জানান, কাজিরহাট এলাকায় আব্দুস সামাদ একজন দুবাই প্রবাসী। তিনি বিভিন্ন সময় বিকাশের মাধ্যমে তার স্ত্রী তহমিনা বেগমের কাছে টাকা পাঠাতেন। এক পর্যায়ের বিকাশের এজেন্ট নিজাম উদ্দীনের সঙ্গে তহমিনা বেগম পরকীয় প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।
তিনি আরো জানান, আগে থেকে ফোনে আলাপ করে মঙ্গলবার রাতে পরকীয়া প্রেমিকার বাড়িতে যান নিজাম উদ্দীন। এ সময় তহমিনা বেগমের ছেলে সুমন তাকে দেখে ফেলে। এরপর সে চোর চোর বলে চিৎকার দিলে নিজাম উদ্দীন দৌড়ে পালিয়ে যান। দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়ে মারা যান তিনি।
ওসি বলেন, রাতেই মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ট্রোক করে তিনি মারা গেছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.