রাজনীতি | তারিখঃ জুন ১৬, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 129486 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সরকার হটানোর ‘যুগপৎ আন্দোলন’ করতে ঐকমত্য হয়েছে বিএনপি ও এলডিপি।
বৃহস্পতিবার বিকালে মহাখালী ডিওএইচএসে কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের বাসায় এলডিপির সঙ্গে সংলাপে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দেড় ঘণ্টার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের বৈঠকে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আমরা ঐকমত্য হয়েছি।
সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পর যুগপৎ এই আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন- এমন জোরালো আশাবাদ ব্যক্ত করে ফখরুল বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।
বিকাল ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই সংলাপ হয়। সংলাপে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
এলডিপির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল আলম, নেয়ামূল বসির, আওরঙ্গজেব বেলাল, সাকলাইন খান ও সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।
বৈঠকের পর অলি আহমেদ বলেন, বর্তমান যে সরকার আছে তারা দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। দেশের জনগণ এক অস্বস্তিকর পরিবেশে বাস করছে, কারও জীবনের, যান-মালের কোনো নিরাপত্তা নেই, মৌলিক অধিকার নেই, ন্যায় বিচার নেই। একটা মগের মুল্লুকে আমরা বসবাস করছি। এরকম অবস্থা দেশের মানুষের জন্য কাম্য নয়। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, এই ধরনের লুটপাট-অর্থ পাচারের জন্য এদেশ স্বাধীন করি নাই।
তিনি বলেন, আমরা চাই, এই অবস্থার অবসান হোক। আমরা আজকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে অনতিবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিও জানান অলি আহমেদ।
বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ডান ও বাম দুই ঘরানার সরকারবিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে । গত ২৪ মে থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে দলটি। প্রথম দিন নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর ২৭ মে বাংলাদেশ লেবার পার্টির সঙ্গে, ৩১ মে গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে, ১ জুন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ২ জুন কল্যাণ পার্টি, ৭ জুন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ৮ জুন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), ৯ জুন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও ১২ জুন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ভাসানী (ন্যাপ ভাসানী) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ প্রতিনিধি দল।