এস এম মহিদার রহমান, সাতক্ষীরা ঃ সুদরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ প্রবেশের তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মানবন্ধন করেছে জেলে, বাওয়ালী ও মোয়ালীরা। বাংলাদশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির আয়াজনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগায়ালিনী ফরেস্ট অফিসের সামনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
বাংলাদশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আজিবর রহমানের সভাপতিত্ব মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যাণার্জি, জেলে পরিবারের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আজিজুর রহমান, জাগো যুব ফাউন্ডশনর নির্বাহী পরিচালক শেখ ফারুক হোসন, সাংবাদিক আক্তার হোসেন, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, রবিউল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, নদীকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা বল এবং ইলিশ ও কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বড় হয়ে উঠার সুযোগ করে দিতে তিন মাস জেলে, বাওয়ালী ও মোয়ালীদের সুদরবন প্রবেশের পাশ বন্ধ রাখা হয়। অথচ সদর সাতক্ষীরার রঞ্জর নদীতে ইলিশ মাছ ধরা পড়ে না। এছাড়া নদীতে বিশ্রাম দেওয়া তা দুরের কথা নিয়মিত কার্গা চলছে নদীতে। মাছ বা কাকড়া ধরা বন্ধ নেই। ফরেস্ট অফিসার কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কিছু জেলেদের পাশ দেওয়া হচ্ছে । অন্যদিকে হাজার হাজার জেলে বাওয়ালীরা পরিবার মানবতর জীবন যাপন করছে। এছাড়া যে সময় বাংলাদেশের জেলেদের পাশ বন্ধ রাখা হয়েছে সে সময়ে পাশ^বর্তী দেশ ভারতে পাশ দেওয়া হচ্ছে । ফলে সে দেশের জেলেরা আমাদের রঞ্চর মাছ, মধু, কাকড়া ধরে নিয়ে লাভবান হচ্ছে । বক্তারা বলেন, পাশ বন্ধ থাকলে সরকারর পক্ষ থেকে প্রত্যক জেলে, বাওয়ালী ও মোয়ালীকে ৮৬ কজি চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও সঠিকভাব তা দেওয়া হয়নি। সাতক্ষীরায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৩১ হাজার। অথচ চাউল পেয়েছে মাত্র ১৯৭৯ জন। এছাড়াও অনিবন্ধিত প্রায় লক্ষাধিক জেলে, বাওয়ালী ও মোয়ালী রয়েছে। এছাড়াও অনিবন্ধিত প্রায় লক্ষাধিক জল, বাওয়ালী ও ময়ালী রয়ছ। তারা বর্তমান মানবেতর জীবন যাপন করছে। বক্তারা অবিলম্বে পাশ ছাড় দেওয়াসহ ৬দফা দাবী তুলে ধরেন। মানববন্ধন শেষে একই দাবিতে ফরেস্ট অফিসারের কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.