বিনোদন রিপোর্ট : ওমরসানী-মৌসুমি-জায়েদ ত্রিভুজ বিতর্ক এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। খল অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান চিত্রনায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খান। অনুষ্ঠানে ঢুকে জায়েদকে দেখতে পেলে তাকে চড় মারেন সানী। এ সময় জায়েদের উদ্দেশ্যে সানী বলেন, তোরে না নিষেধ করছি, আমার বউরে (চিত্রনায়িকা মৌসুমী) ডিস্টার্ব করবি না। ঘটনার এক পর্যায়ে কোমরে থাকা পিস্তল বের করে ওমরসানীকে গুলি করার হুমকি দেয় জায়েদ। পরে ডিপজল এসে পরিস্তিতি শান্ত করেন।
এ ঘটনার পর জায়েদ বলেন, ওমরসানী আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন একই অভিযোগ যদি মৌসুমী আপা করেন তাহলে আমি শাস্তি মাথা পেতে নিব। এরপর শুরু হয় জল্পনা। ঘটনার দুইদিন পর মুখ খুলেন চিত্রনাইয়িকা মৌসুমী। তিনি বলেন, জায়েদ আমাকে কখনো অসন্মান করেনি। সানী একটু বেশি করে ফেলেছে। জায়েদ আমার ছোট ভাইয়ের মতো। মৌসুমীর এমন বক্তব্যের পর এই দম্পতির সম্পর্কের ভাঙন নিয়েও গুঞ্জন উঠেছে।
চড়-পিস্তলকাণ্ড দিয়ে সানী-মৌসুমি-জায়েদের ত্রিভুজ বিতর্কের পর এবার গণমাধ্যমে মুখ খুললেন ছেলে ফারদিন। এ সময় ফারদিন গণমাধ্যমে বলেন, আম্মু শুরুতে চাননি এটা নিয়ে কোনো ধরনের সমালোচনা না হয়। তিনি যেই বক্তব্য দিয়েছেন সেটি পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য। আর এটা নিয়ে যেন কাদা ছোঁড়াছুড়ি না হয় সেজন্য কথাগুলো বলা। ফারদিন তার বক্তব্যে বাবা-মায়ে সম্পর্কের অবস্থান নিয়ে বলেন, পরিবারে অনেক বিষয়ে মনোমালিন্য থাকে। আমিও বিয়ে করেছি। বিষয়গুলো বুঝি। আর এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। আব্বু-আম্মু দুজন চাচ্ছেন যেন বিষয়টা দ্রুত সমাধান হয়ে যায়। আমারও এমনটাই চাওয়া।
জায়েদ খান প্রসঙ্গে ফারদিন বলেন, জায়েদ খান সত্যিই আম্মুকে ডিস্টার্ব করেন। এছাড়া আরও অনেককেই করেন। সেই প্রমাণ আমিও দিতে পারি। কিন্তু সেটা করব না। আর তাকে কোনো ধরনের গুরুত্বও দিতে চাচ্ছি না। এদিকে শুক্রবারের এ ঘটনা নিয়ে শিল্পী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওমর সানি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.