সানজিদা আক্তার সান্তনা, যশোর অফিস : যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা মল্লিক পাড়ায় ননী ফল নার্সারির আড়ালে যৌন ও ক্যান্সার চিকিৎসা প্রতারণা ও অবৈধভাবে ওষুধ তৈরির দায়ে খন্দকার কবীর হোসেনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ সময় আরও ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, ওষুধ প্রশাসন যশোরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সৌম্য চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে এই জেল- জরিমানা করা হয়। সিভিল সার্জন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, খন্দকার কবীর হোসেন চিকিৎসক পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সাথে দীর্ঘদিন প্রতারণা করে আসছিলেন। আসলে তিনি চিকিৎসক নন। কবীরের চিকিৎসা প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার তার ডেরায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় প্রতারণা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়া তিনি চিকিৎসক হিসেবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন অনিযায়ী ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। সিভিল সার্জন আরও জানান, এছাড়া কবীরের চিকিৎসা কার্যক্রমের চেম্বার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ওষুধ প্রশাসন যশোরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান জানান, ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই তিনি অবৈধভাবে নিম্নমানের ওষুধ তৈরি করে বিক্রি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। অবৈধভাবে ওষুধ তৈরি ও বিক্রির প্রমান পাওয়ায় ওষুধ আইনের ১৯৪০ এর ১৮ ও ২৭ ধারা অনুযায়ী ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কবীরের তৈরি ভুয়া ওষুধ জব্দ করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। অভিযানকালে সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান ও র্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.